নদীয়াতে বৃষ্টি নাই, পাট চাষীদের মাথায় হাত। কি করে পাট পচাবো!

মঞ্জুর মোল্লা, নতুন গতি, নদীয়া। আকাশে মেঘে আছে কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া দপ্তরের বৃষ্টির পূর্বাভাসে শুকনো মাটির উপরে পাট পচানোর ব্যবস্থা করছে চাপড়া তেহট্ট, পলাশীপাড়া,নাকাশিপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। এমন দৃশ্য দেখা গেল নদীয়ার চাপড়া এলাকার সহ বেতাই পলাশী তেহট্ট করিমপুর সহ বিভিন্ন যায়গাতে। চাষীরা তাদের জমির পাট রাস্তার পাশের নয়ন জুলির শুকনো মাটিতে পাট জাগ দিয়ে তার উপরে মাটি চাপা দিয়ে রেখে দিচ্ছেন চাষিরা। বৃষ্টি হলে সেই বৃষ্টির জমা জলে পাঠ পচতে শুরু করবে এই ভেবেই চাষীরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। শুধু এখানেই নয় মহাকুমার বিভিন্ন জায়গায় এই ভাবে পাম্পের বা নদীর জলে পাট পচানোর ব্যবস্থা করছে চাষিরা। সাধুবাজারের পাট চাষী সুফল পাল জানান, তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। জলের অভাবে তিনি পাট কাটতে পারছেন না তারা এমনকি বিভিন্ন কৃষি কাজ বন্ধ হয়ে গেছে জলের অভাবে। এই সময় সাধারনত জমিতে পাট চাষ করেছেন সেই জমিতে বৃষ্টির জল জমে থাকে। বর্তমানে সময়ে এক কোমর জল থাকার কথা। কিন্তু সেই জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে আছে। তাই কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া দপ্তরের বৃষ্টির পূর্বভাসে আশায় বুক বেঁধে পাট কাটতে শুরু করেছেন। সেই পাঠ নয়ন জুলিতে শুকনো মাটির উপরে মাটি চাপা দিয়ে রাখছেন, যদি বৃষ্টি হয় সেই বৃষ্টির জল জমে পাঠ পচতে শুরু করবে। তার মতো অনেক চাষি পাটের গুণগত মান খারাপ হবে জেনেও এলাকার চাষীরা বাধ্য হয়ে এই পন্থা অবলম্বন করেছেন। আরেক পাট চাষী জানি আলোম বলেন, তারও প্রায় ছয় বিঘা জমিতে পাট চাষ হয়েছে। জলের অভাবে তিনিও পাট কাটতে পারছেন না। সংলগ্ন আশেপাশে কোন জলাশয় না থাকায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে পাট চাষীদের। এলাকায় দুই একটা জলাশয় বা পুকুর আছে তাতেও মাছ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে। এলাকার জলাশয় থেকে নদীগুলি সমস্ত জায়গাতেই এবার জল শুন্য, তাই নদিয়ার হাজার হাজার চাষী পাট চাষ করে পড়েছেন মহাফাপড়ে। জলের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অন্যান্য চাষ আবাদ।সামনেই আসছে পুজো তার সাথে সাথে ঈদ চাষীরা তাদের কি করে খুশি আনন্দে মেতে উঠবে তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছে চাষীরা।