তেরো মাসে কোরান মুখস্ত করে রেকর্ড সৃষ্টি করলো হাবিবুর

আসমা খাতুন,খন্ডঘোষ : সংখ্যালঘুদের শিক্ষা ব্যবস্থাই অমূল পরিবর্তন আসতে পারে যদি উচ্চ মেধা সম্পূর্ণ কোরানের হাফেজ দের আধুনিক শিক্ষায় আনা যায় । এই চেষ্টা শুরু হয়েছে অনেক হাফেজ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরী হচ্ছে । মুসলিমদের প্রাণ প্রিয় ধর্ম গ্রন্থ আল কোরান । ইসলামি সংবিধান আল কোরান যেটা আল্লহর তরফ থেকে জীব্রিল আ: এর মাধ্যমে নবী মোহাম্মদ সা : উপর অবতীর্ন হয় । ৩০পাড়া সম্বলিত প্রায় ৬০০ পিস্টার কোরান শরীফ মুসলিমদের কাছে প্রাণের থেকে প্রিয় ।নবী মোহাম্মদ সা: আমল থেকে এই আসমানী কিতাবের মুখস্ত প্রচলন আছে । গোটা এই কিতাব মুখস্থাকারী কে কোরানে হাফেজ বলে ।এই হাফেজ সাহেবদের খুবই সম্মানের সঙ্গে দেখা হয় । মুসলিম দেশে হাফেজদের প্রতিযোগিতা হয় তাদেরকে উচ্চ সম্মানে সম্মানিত করা হয় । এতো বড় কিতাব মাত্র ১৩ মাসে মুখস্ত করে কোরানে হাফেজ হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করল হাবিবুর রহমান শেখ। সুদুর অম্বিকা কালনার হাবিবুর খণ্ডঘোষ থানার বারিশালী গ্রামের ছোট্ট মক্তবে পড়াশোনা করে এই সাফল্য পেয়েছে।। পত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে হাবিবুর ১৩ মাসে হাফেজ হয়ে একেবারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আব্বা কাওসার শেখ চাষবাস করেন , বারিশালী মক্তবের শিক্ষক হাফেজ ওয়াজেদ সাহেবের তত্ত্বাবধানে থেকে এই সাফল্য হাবিবুর অর্জন করেছে। ছোট্ট মুক্তবের এই সাফল্যে খুশি হয়ে হাবিবুরকে সংবর্ধনা দিতে ছুটে এলেন সেহারাবাজার রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সম্পাদক হাজি কুতুবুদ্দিন ও ঐ ট্রাস্টের দুই সহ সম্পাদক হাজি মৌলানা আসরফ আলি ও মোল্লা সফিকুল ইসলাম ।হাজি কুতুবুদ্দিন সাহেব এই মেধাবী ছাত্রের জন্য রহমানিয়া আল আমিন মিশনে আধুনিক শিক্ষার সমস্ত খরচ বহন করবে বলে জানান । একজন উন্নত মেধার কোরানে হাফেজ ছাত্র আধুনিক শিক্ষা অর্জন করলে সমাজে বিশাল প্রভাব পরে ।কিছুদিন আগে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন কোরানে হাফেজ ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়ে মেধার পরিচয় দিয়েছে ।হাফেজ ওয়াজেদ বলেন তার মক্তবে এই রকম অনেক মেধাবি ছেলে পড়াশুনা করে ।এই মক্তব কে আরো সাফল্য মন্ডিত করতে অর্থের প্রয়োজন । সঠিক পরিকাঠামো তৈরী করে আরো অনেক হাফেজ তৈরী করতে চান । রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সম্পাদক হাজি কুতুবুদ্দিন মেধা হাফেজ ছেলেদের আধুনিক শিক্ষার পাঠ নেওয়ার অহব্বান জানান । আগামীতে এখান থেকে আই এ এস ,আই পি এস ,ডাবলু বি সি এস সহ অনেক পুলিশ প্রশাসনে সত স্বচ্ছ ঈমানদার প্রশাসনিক ব্যাক্তি তৈরী হবে যেটা সমাজের চোখে খুবই মঙ্গল হবে।