গত শনিবার থেকে এই তাস প্রতিযোগিতা শুরু হয় বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত চিনপাইয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা : ইতিহাস বলছে, তাস খেলার উৎপত্তি চিনে। তাং রাজবংশের নবম শতাব্দীর প্রথমদিকে এর উৎপত্তি হয়েছিল। পরে ভারতে মুঘল সম্রাটদের হাত ধরে এই তাস খেলার আগমন ঘটে। তাস খেলার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন নাম লক্ষ্য করা যায়। একটা সময় ছিল যখন পাড়ায় পাড়ায় দুপুরবেলা অথবা সন্ধ্যায় এই তাস খেলায় মত্ত থাকতে দেখা যেত সাধারণ মানুষের একাংশকে। এখনো এই তাস খেলার রীতি রয়েছে, তবে কার্ডের পরিবর্তে সেই জায়গা দখল করেছে স্মার্টফোন। এখন সেইভাবে পাড়ায় পাড়ায় তাস খেলা লক্ষ্য করা না গেলেও অনেকেই রয়েছেন এই খেলায় বেশ পটু এবং হাতে তাস নিয়ে খেলায় বসে পড়েন সুযোগ পেলে। সেই সকল খিলাড়িদের নিয়েই বীরভূমে আয়োজিত হল তাস প্রতিযোগিতা। গত শনিবার থেকে এই তাস প্রতিযোগিতা শুরু হয় বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত চিনপাইয়ে। সেখানকার নবারুণ সংঘ নামে একটি ক্লাবের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তাস খেলার প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে ছিল আলাদা কৌতুহল। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তাস প্রতিযোগিতা মোট ১৬০টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই সকল প্রতিযোগীদের আগমন হয়। প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে কার্যত উৎসবের চেহারা নিয়েছিল ক্লাব প্রাঙ্গণে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় তার জন্য প্যান্ডেল করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুদিনের এই প্রতিযোগিতা চলে সারাদিন সারারাত। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের যাতে খাওয়া-দাওয়া সহ অন্য কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় জয় লাভ করেন বীরভূমের কৃষেন্দু চ্যাটার্জ্জী ও শিবনাথ বাগদি জুটি। তাঁরা মুর্শিদাবাদের বাদশা ও জানে আলম জুটিকে পরাজিত করেন। প্রতিযোগিতার পুরস্কার স্বরূপ জয়ী দলকে একটি ট্রফি ও নগদ ১৫ হাজার আর্থিক পুরস্কার এবং রানার্স টিমকে সুদৃশ্য ট্রফি ও ১১ হাজার আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও সেমি ফাইনাল রানার্সকে ৩৭০০ টাকা এবং কোয়াটার ফাইনাল রানার্সকে ২৩০০ টাকা আর্থিক পুরস্কৃত করা হয়।