কন্যা সন্তানকে বরণ করে নেওয়ার এই অভিনবত্ব দেখা গিয়েছে বীরভূমে

নিজস্ব সংবাদদাতা : সদ্যোজাত কন্যাসন্তান প্রথমবার বাড়িতে পা রাখছে। এই । কন্যারাও সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশকে তুলে ধরতেই এমন অভিনব আয়োজন বলে জানিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কন্যা সন্তানকে বরণ করে নেওয়ার এই অভিনবত্ব দেখা গিয়েছে বীরভূমের সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপুর গ্রামে। যেখানে মন্টু ধীবর এবং শ্যামলী ধীবরের কোল আলো করতে এসেছে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান। কন্যা সন্তান হওয়ার পর রীতি মেনে মা ও সন্তান দুজনেই মায়ের বাপের বাড়িতে ছিলেন। পাঁচ মাস পর তারা বৃহস্পতিবার কালীপুরের বাড়িতে আসেন।বাড়িতে পা রাখা মাত্রই চমকে যান শ্যামলী দেবী। দেখেন তাদের কন্যা সন্তানকে বরণ করে নেওয়ার জন্য ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্রবেশদ্বার। এর পাশাপাশি লক্ষ্মী বরণের মতই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। সদ্যজাত কন্যা সন্তানের প্রথমবার বাড়িতে প্রবেশের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য তার পদচিহ্ন আলতার রঙে রাঙিয়ে একটি কাগজে তুলে রাখা হয়। তবে এটা যে শুধু অভিনবত্ব তা নয়, এর মাধ্যমে ওই ধীবর পরিবার সমাজে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছেন। তাদের কথা অনুযায়ী, এখনও টিভির পর্দায় অথবা সংবাদ শিরোনামে লক্ষ্য করা যায় কন্যা সন্তান হওয়ার পর অনেক পরিবারের সদস্যরাই মনঃক্ষুণ্ণ হন। এমনকি এটাও লক্ষ্য করা যায়, কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করার পরেই তাদের উপর অবহেলা, বঞ্চনা শুরু হয়। এমনকি বহু কন্যাসন্তানকেই লক্ষ্য করা যায় জঞ্জালে ফেলে আসতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা সমাজে বার্তা দিতে চান, কন্যাসন্তান সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কন্যাসন্তানকে পুত্র সন্তানের মতই লালন পালন করতে হবে তবেই সমাজে গিয়ে যাবে। এখন এই কন্যাসন্তানদেরই লক্ষ্য করা যায় বিমান চালাতে, দেশ চালাতে, রাজ্য চালাতে