|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি : ১ সেপ্টেম্বর, তিলজলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন কুষ্টিয়া রোডের বাসিন্দা শেখ বাবলু। জানান, তাঁর বাড়ি থেকে চুরি গেছে নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা-সহ সোনা ও রুপোর বেশ কিছু গয়না এবং ২টি দামি মোবাইল। গয়নাগুলির বাজারদর প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
২৫ আগস্ট রাতে সপরিবারে দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন শেখ বাবলু। ফিরেছিলেন ৩১ আগস্ট রাত ৯টায়। বাড়ি ফেরার পর চুরির ঘটনাটি নজরে আসে। তাঁদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়েই চোর ঢুকেছিল বাড়িতে।
তদন্ত শুরু করে তিলজলা থানার বিশেষ টিম। চুরির ধরন দেখে কয়েকটা ব্যাপার শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। এক, সম্ভবত এটা একজন চোরের কাজ নয়। দুই, শেখ বাবলুর পরিচিত কেউ এই চুরির সঙ্গে জড়িত। বাবলু এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা যে মাঝের ক’দিন বাড়িতে থাকবেন না, চোরেরা জানত। বাড়িতে কোথায় টাকা ও গয়না থাকে, সে তথ্যও ছিল তাদের কাছে।
চুরিটা ঠিক কবে হয়েছে, সেটা জানাই প্রথম কাজ। শেখ বাবলুর বাড়ির কাছাকাছি থাকা সিসিটিভির ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখা শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ফুটেজে একটি ছেলেকে কয়েকদিন আগে মাঝরাতে গলির মুখে সন্দেহজনকভাবে ঘুরঘুর করতে দেখা যায়৷ বয়স উনিশ-কুড়ির বেশি নয়। সোর্সদের খবর দেওয়া হয়। যারা দ্রুত শনাক্ত করে ছেলেটিকে। নাম মহঃ রিয়াজ, কুষ্টিয়া রোডে বাড়ি।গ্রেফতার করা হয় বাড়ি থেকেই।
জেরার মুখে ভেঙে পড়ে চুরির দায় স্বীকার করে নেয় রিয়াজ। জানায়, ৩ জন মিলে ছক কষে এই চুরি। রিয়াজের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ নাজিরুদ্দিন ওরফে সোহেলকে। নাজিরুদ্দিন শেখ বাবলুর সৎ ছেলে। বাড়ির কোথায় টাকা ও গয়না আছে, সেই তথ্য বাকিদের দিয়েছিল নাজিরুদ্দিনই। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় এই ঘটনার তৃতীয় চক্রী মহঃ সাব্বির ওরফে আরিয়ান দুবে-কে। ধৃতদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ও প্রায় সমস্ত গয়না, উদ্ধার হয়েছে মোবাইল দু’টিও।
অভিযোগ পাওয়ার একদিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে তিলজলা থানার বিশেষ টিম। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া প্রায় সমস্ত জিনিসও।