পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্মেলন দার্জিলিং জেলায়

দার্জিলিং: একই রাজ্যে থেকেও পেনশন সহ ন্যাশনাল বেনিফিট থেকে বঞ্চিত পাহাড়ের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা। পাশাপাশি, অবসরের পর মিলছে না গ্র্যাচুইটি। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের প্রথম জেলা সম্মেলনের মঞ্চে এমনি অভিযোগ তুললেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে সমস্যা না মিটলে প্রয়োজনে গণ আত্মহত্যার হুমকি দিল শিক্ষক শিক্ষিকারা।

    এই প্রথমবার পাহাড়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্মেলন হল দার্জিলিং জেলায়। শনিবার দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহকুমার গাড়িধুরাতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। দার্জিলিং ও এল বি রাই, কালিম্পঙ জেলা কমিটির সভাপতি প্রকাশ কাটেল, দার্জিলিং জেলা কমিটির আহ্বায়ক অশোক বিশ্ব সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই সম্মেলন থেকে গোর্খা টেরিটোরিয়াল এডমিনিষ্ট্রেশনের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তোলা হয়। শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০০২ সালে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাদের ১১ বছর পর ২০১৩ সালে নিয়োগ করা হয়। যার ফলে,    কর্মক্ষেত্রে ১১ বছরের সময়সীমা নষ্ট হওয়ায় অনেকেরই। ফলে বর্তমানে অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে প্রায় ৬০০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার। কিন্তু তাদের কর্মজীবনের সময়সীমা ১০ বছর কম থাকায় তাদের অবসরের পর পেনশন এর জন্য জিটিএ কে দায়ী করেছেন শিক্ষক শিক্ষকারা।

    কালিম্পঙ জেলার সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। বিশেষ অতিথি হিসেবে এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র, রাজ্যসভার সাংসদ তথা হিল তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী, হিল তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তাদের আরো অভিযোগ, অবসরের পর অনেকের পেনশনের টাকাও আটকে রয়েছে। অন্যদিকে, সমতলে ই পেনশন পরিসেবা চালু হলেও পাহাড়ে এখনো এই পরিসেবা চালু হয় নি। শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল বেনিফিট থেকেও বঞ্চিত রয়েছে পাহাড়ের শিক্ষকরা বলে অভিযোগ, ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকারা।

    এদিন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের কালিম্পঙ জেলা কমিটির সভাপতি প্রকাশ কাটেল বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রসঙ্গ উৎক্ষেপণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তারা। সমস্যার সমাধান না হলে তারা গণ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক GTA এর যদি শিক্ষকদের প্রতি মনোযোগী হোত তাহলে পাহাড়ের শিক্ষকরা বঞ্চিত হতেন না। তিনি বলেন পাহাড়ে উন্নয়নে স্বার্থে  তৃণমূল সরকারই প্রয়োজন। এদিন সম্মেলনে শেষে প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক ও অশোক রুদ্রকে দাবী সম্বলিত স্বারকলিপি তুলে দেয় শিক্ষকরা।

    বড়াইক শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। বিষয়টি রাজ্যের সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে তিনি তুলে ধরবেন বলে জানান।

    পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, সারা রাজ্য একদিকে চলবে এবং GTA অন্য নিয়মে চলবে তা হয় না।