|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক এলাকা জঙ্গল কেটে নির্মিত হচ্ছে মাছের ভেড়ি, কোথাও বা নির্মিত হচ্ছে বসতবাড়ি, আবার কোন কোন স্থানে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এমনি নিয়মিত চলছে গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায়। একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিদের লোভ ও লালসার কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হতে চলেছে। এতে দিনের-পর-দিন সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম। অপরদিকে বন্যপ্রাণীদের বাসস্থানের সংকুলান। বেশ কিছুদিন ধরে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কুলতলির বিভিন্ন প্রান্তের বৃক্ষছেদন করার অভিযোগ কুলতলী থানার আইসির কাছে আসতে থাকে, এতেই তিনি নড়ে চড়ে বসেন ও নিজ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতে দেখা গেল কুলতলী বিধানসভার বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বিরেন্দ্র অধিকারি বনদপ্তর এর কর্মকর্তা অনুরাগ চৌধুরী স্বপন মন্ডল সহ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ জন। তিনি প্রতি রবিবার কুলতলির বিভিন্ন প্রান্তে বনদপ্তরের সহযোগিতায় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আগামী দিনে যতদিন ধরে বনদপ্তরের গাছের চারা মিলবে ততদিন তিনি এই গাছ রোপনের কাজ করে যাবেন। এমনই উদ্যোগে সামিল হচ্ছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ একাধিক কর্মকর্তারা। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া কুলতলি বনাঞ্চল বেষ্টিত কুলতলী বিধানসভার প্রতিটি প্রান্তে সবুজায়নে লক্ষ্যে এমনই পদক্ষেপে এগোবেন।