হাওড়ার রানিহাটিতে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গুরুতর অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস

নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়ার রানিহাটিতে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গুরুতর অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস৷ রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডেও সরকার ফেলে দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে৷ এই পরিস্থিতির মধ্যে ঝাড়খণ্ডের শাসক দল কংগ্রেসের তিন বিধায়কের গাড়িতে থাকা বিপুল টাকা আসলে ঘোড়া কেনাবেচার জন্য দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রী৷ পাশাপাশি, ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী ভূমিকা নেয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃৃণমূল নেতৃত্ব৷পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় যথেষ্ট চাপে শাসক দল৷ এই পরিস্থিতিতে হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নতুন অস্ত্র পেয়েছে তৃণমূল৷এ দিন হাওড়ার রানিহাটি মোড়ে জাতীয় সড়কের উপরেই ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারির গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ৷ ওই গাড়িতেই ঝাড়খণ্ডের আরও দুই কংগ্রেস বিধায়ক নমন বিক্সল এবং রাজেশ কচ্ছপ ছিলেন৷টাকা উদ্ধারের পরই তিন বিধায়ককে আটক করে পুলিশ৷ হাওড়ার পাঁচলা থানায় টাকা গোনার মেশিন এনে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা গোনা শুরু হয়৷ গভীর রাত পর্যন্ত যা শেষ হয়নি৷ তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গাড়িতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ছিল৷ওই তিন বিধায়ককেই টাকার উৎস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন আদিবাসী এলাকায় বণ্টনের জন্য কলকাতার বড়বাজারে শাড়ি কিনতে ওই টাকা এনেছিলেন তাঁরা৷ এ দিন মন্দারমণি যাওয়ার পথে তাঁদের পুলিশ আটক করে৷ যদিও বিধায়কদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷যদিও এই ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রথমে ট্যুইট করে জানায়, ‘ঝাড়খণ্ডে ঘোড়া কেনাবেচার গুঞ্জন এবং সরকার ফেলে দেওয়ার সম্ভাব্য পরিস্থিতির মধ্যে তিন জন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে৷ এই টাকার উৎস কী? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি কোনও পদক্ষেপ করবে? নাকি বাছাই করা কয়েকটি ক্ষেত্রেই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়?’এর পর অনেকটা একই সুরে ট্যুইট করতে শুরু করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, নুসরত জাহানরা৷ বসিরহাটের সাংসদ নুসরত লেখেন, ‘ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলে দেওয়ার গুঞ্জনের মধ্যেই তিন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার অনেক কিছুই ইঙ্গিত দেয়৷ ইডি-র অবিলম্বে তদন্তে নামা উচিত৷’

    ওই টাকা তোলাবাজির বলে দাবি করে যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও৷ ইডি তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও৷