|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘নাসির টিপস দিয়েছিল। গুলি চালিয়ে ছিল বড় ভাই।’ জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নতুন দুই ‘মাথা’র হদিশ মিলল ধৃত শাহরুল শেখের বয়ানে। মঙ্গলবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে বেরনোর পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে নতুন দুজনের নাম জানান ধৃত।
এদিন সাংবাদিকরা শাহরুল শেখকে জিজ্ঞেস করেন, কে তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন? কে গুলি চালিয়েছিলেন? কত রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নবাণের জবাবে শাহরুলের সাফ দাবি, “আমি গুলি চালাইনি। চালিয়েছে বড় ভাই।” কে বড় ভাই? জিজ্ঞেস করতেই ধৃত বলেন, “যার বাড়ি সংগ্রামপুর সংলগ্ন টেকপ্লাজা এলাকায়।” এই বড় ভাই-ই শাহরুলকে নিয়ে এসেছিলেন বলে জানান। এখানেই শেষ নয়, তিনি জানান, সইফউদ্দিনকে খুনের টিপস দিয়েছিলেন নাসির।
তবে কে এই নাসির বা বড় ভাই, তা এখনও অজানা। জানা যায়নি তাঁদের পরিচয়। পুলিশের তরফে নাসির বা বড় ভাইয়ের সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। এদিন শাহরুল শেখকে আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ২৪ নভেম্বর তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে।
সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের দলুইখাঁকি এলাকা। বাঙালবাড়ি মোড়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে শুটআউটে খুন হন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সইফউদ্দিন লস্কর। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে উন্মত্ত জনতার মারে প্রাণ হারায় অভিযুক্ত। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুনের ঘটনায় বহিরাগত যোগ রয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শাহরুল। জানা গিয়েছে, সইফউদ্দিন মণ্ডলকে খুনের জন্য তাঁর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল ধৃত শাহরুল শেখকে। বলা হয়েছিল, চুরির কাজ আছে। তাই নজর রাখতে হবে। এবার তাঁর বয়ানেই উঠে এল নতুন দুই মাথার খোঁজ। কে এই নাসির? কে-ই বড় ভাই? উত্তর এখনও অজানা।