|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মেমারির বারাবী গ্রামের নাসিম আখতারের পর এবার কেতুগ্রাম থানার কান্দরার জয়দীপ ঘোষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে পর পর গ্রেফতার হল পূর্ব বর্ধমানের দুই পড়ুয়া। দুটি ক্ষেত্রেই অবাক আত্মীয় পরিজনরা। মেধাবী শান্ত স্বভাবের দুই ছাত্র যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত- এমনটা কিছুতেই মেলাতে পারছেন না তাঁরা।
যাদবপুর কাণ্ডে জয়দীপ ঘোষের গ্রেফতারের খবরে গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার কান্দরা স্টেশন রোডে জয়দীপদের বাড়ি। জয়দীপের বাবা বংশীলাল ঘোষ পেশায় মিষ্টি ব্যবসায়ী। তিনি জানান, ‘আমার ছেলে বাড়িতেই ছিল। যাদবপুর থানা থেকে নোটিশ জারি করে জয়দীপ ঘোষকে ডেকে পাঠায়। ১৯ অগাস্ট যাদবপুর থানায় জয়দীপ গিয়েছিল এবং পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে জেনেছি।’এদিকে ছেলের গ্রেফতারির খবর শোনার পর মা উত্তরা ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বংশীলাল ঘোষ বলেন, “আমার ছেলে কোনওমতেই পুলিশকে বাধা দেয়নি। সি সি ক্যামেরা ছবি দেখলে বোঝা যাবে সেখানে জয়দীপ ছিল কী না। তবে বংশীলালবাবু আরও বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না। দোষীরা শাস্তি পাক।পাশাপাশি জয়দীপ ঘোষের বন্ধু শুভ্রনীল দত্তও বলেন, পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা যদি প্রমাণ হয় তাহলে জয়দীপের সাজা হোক। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি জয়দীপ একাজ করতে পারে না।অন্যদিকে মেমারি থানার বারাবী গ্রামের নাসিম আখতারও ঘটনার পর থেকে বাড়িতেই ছিল। ১০ অগাস্ট তিনি বাড়ি ফিরে আসেন বলে জানা যায়। যাদবপুর থানার পুলিশ শুক্রবার তাঁকে ডেকে পাঠায়। ওইদিন সকালে বাড়ি থেকে বাবার সঙ্গে বেরিয়ে থানায় যায় পুলিশ। সেদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই খবর পাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ নাসিম আখতারের মা। বাড়িতে রয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়া নাসিমের বোন। তার বক্তব্য, “আমার দাদা বরাবরের ভাল ছাত্র। এই ঘটনার সঙ্গে দাদা কোনও ভাবেই জড়িত নয়। দাদুর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিল দাদা।”