|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মেদিনীপুর-খড়গপুরের সংযোগস্থল দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতুতে জোর কদমে চলছে লোড টেস্টিংয়ের কাজ। দু’দিকেই রয়েছে একাধিক পুলিশি ব্যারিকেড। রয়েছে পুলিশি প্রহরাও। আর এটাই কাল হল দুষ্কৃতীদের। বীরেন্দ্র সেতু যে বন্ধ তা হয়তো জানাই ছিল না দুষ্কৃতীদের। ফলে তীব্র গতিতে বাইক ছুটিয়ে মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর ব্যারিকেটেই আটকে গেল তারা। পুলিশের বারণের পরেও বাইক না থামানোয় ২ যুবককে আটক করে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।এরপর শুরু হয় তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। আর চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। ওড়িশার একাধিক নম্বর প্লেট সহ ৩৫ গ্রাম সোনা, পঞ্চাশ গ্রাম রুপো, ৫০০ টাকার দু’টি নোটের বান্ডিল (মোট ষাট হাজার টাকা) এবং তিনটি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের দুজনের নাম রঙ্গ প্রধান ও করন রাও। ধৃতরা দুজনেই উড়িষ্যার বাসিন্দা। দুই দুষ্কৃতীর মোটর বাইকটিও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জাজপুরের বাসিন্দা ওই দুই দুষ্কৃতী ভিনরাজ্যের অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ধৃতরা কোনও জায়াগা থেকে চুরি করে পালানোর চেষ্টা করছিল বলেই মনে করছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা জিনিস চুরির কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ভরদুপুরের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা মেদিনীপুর শহরজুড়ে।প্রসঙ্গত, লোড টেস্টিংয়ের কাজ চলছে মেদিনীপুর ও খড়গপুর শহরের সংযোগকারী মোহনপুর সেতুতে। ফলে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। গত ১৭ তারিখ রাত ১১টা থেকে সেতুর ওপরে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা হিসেবে শুধুমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স চলাচলের ওপরে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন দই শহরের মানুষজন। কারণ ওই দুই শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষার অন্যতম প্রধান মাধ্যমই হল এই মোহনপুর সেতু। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে পার্শ্ববর্তী আমতলা ঘাটের বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে নদী পারাপার শুরু হয়। প্রথমদিকে বাঁশের ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে বাইকও চলাচল করছিল। কিন্তু সাঁকোর অবস্থা ভাল নয় দেখে পরে তা বন্ধ করা হয় প্রসাসনের তরফে। এই পরিস্থিতি সাঁকোর ওপর দিয়ে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে নদী পারাপার করতে পারছেন সাধারণ মানুষ। বাইক বা সাইকেল পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নদীর নৌকা পরিষেবা।