|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :প্রতিদিনই নেশা করে বাড়ি ফিরে অশান্তি করত ছেলে। বিরক্তি চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিছুতেই এ থেকে পরিত্রাণ মিলছিল না। বুঝিয়ে, বকে, শাসিয়েও বাগে আনা যায়নি ছেলেকে। শেষমেষ ছেলেকে বশ মানাতে একেবারে গলায় কুড়ুল চালিয়ে দিলেন তিতিবিরক্ত বাবা। কুড়ুলের প্রবল আঘাতে মৃত্যু হয় ছেলের। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিস্থিতি। পুলিশ বাবাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর নীচবস্তি এলাকায়। রবিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র সহ অভিযুক্ত ৫৫ বছরের কুতানু শবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃত কুতানু তার ৩০ বছর বয়সি ছেলে বিশালকে খুন করার কথা স্বীকারও করেছেন। সোমবার দুপুরে ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুতানুদের পারিবারিক অবস্থা ভাল নয়। তারপরও ৩০ বছরের ছেলে বিশাল কোনও কাজ তো করতোই না উল্টে নেশা করে আসত। বাবা কিছু বললে ঝগড়া লেগে যেত। হাতাহাতিও হয়েছে একাধিকবার। জানা গিয়েছে কোনও রকমে নেশার টাকা জোগাড় করাই ছিল ছেলের লক্ষ্য। এসবের জন্য প্রায়ই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। বিবাহিত স্ত্রীকেও মারধর করত বিশাল। এরপর ছয় মাস আগে বিশালের বাবা একদিন স্ত্রীকে নিগ্রহের সময় আটকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করে বিশাল। এরপর গ্রামবাসীরা কুতানুকে ছেলের হাত থেকে বাঁচিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে মৃতের পরিবারের তরফে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। জেরায় কুতানু জানান, ছেলে প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত। স্ত্রী এবং দুই মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাত। গতকালও সে তাই শুরু করে। এরপর এক-দু’কথা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিশালের বচসা শুরু হয়। পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। মাথা গরম হয়ে যায় কুতানুর। ঘর থেকে কুড়ুল বের করে ছেলেকে লক্ষ্য করে কোপ দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বিশাল। পরে মাটিগাড়া থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।