|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে মুর্শিদাবাদ জমিয়ত উলামা হিন্দের শান্তি ও ঐক্য জনসভা অনুষ্ঠিত হলো, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা হয়। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কারী শামসুদ্দিন সাহেব বলেন ভারতবর্ষে বেশকিছু অপশক্তি ভারতবর্ষকে ধর্মের নামে বিভাজন করতে চাইছে, আমাদের এই দেশ লক্ষ লক্ষ হিন্দু মুসলিমের রক্তের বিনিময়ে কুখ্যাত ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীন করতে হয়েছে পৃথিবীর শেষলগ্ন পর্যন্ত এই ভারতে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে থাকব কেউ বাধা দিলে তাদের সেই অপশক্তি ব্যর্থ হবে।
তিনি বেশ কিছু প্রমাণ দিয়ে বলেন আল্লাহ রাসুলের তরিকা হচ্ছে মানবতার জন্য ভাবা, কে মুসলিম কে হিন্দু সেটা না ভেবে মানবতার দিকে লক্ষ্য করে একে অপরের সাহায্য সহযোগিতা ও পাশে থাকা দরকার সেই ভূমিকা নিয়ে আমাদের জমিয়তে উলামা হিন্দ এগিয়ে চলেছে আগামীতেও চলবে ইনশাল্লাহ।
তিনি আরো বলেন এনআরসির ব্যাপারে মানুষকে একটা ভীতি তৈরি করে ফেলেছে এনআরসি ব্যাপারে সকল জনগণকে বলবো আপনারা সমস্ত ডকুমেন্টসে একই নাম জন্ম সার্টিফিকেট ঠিকঠাক আছে কিনা লক্ষ্য রাখুন না থাকলে সংশোধন করিয়ে নিন, এনআরসি নিয়ে কেউ ভীত হবেন না কেউ নিজেদেরকে
দুর্বল ভাববেন না।
জেলা জমিয়তে সম্পাদক মুফতি নাজমুল হক সাহেব বলেন আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলে এক হয়ে থাকতে চাই, এই দেশ সকল শ্রেণীর মানুষের রক্তের বিনিময় স্বাধীন হয়েছে যার অগ্র ভূমিকা ছিল এই জমিয়ত উলামা হিন্দের নেতৃত্বদের। এবং হাজার হাজার আলেম ওলামাগন দেশের জন্য নিজেদের জীবনকে বিসর্জন ও উৎসর্গ করেছেন তিনি শিক্ষার ব্যাপারে খুবই সচেতন মূলক আলোচনা করেন মুর্শিদাবাদ জেলা কিভাবে আরো শিক্ষার পরিকাঠামো স্বাস্থ্য অন্যান্য সেবামূলক কাজ কর্মের উন্নতি করতে পারবে সে বিষয়ে অগ্র ভূমিকা এই জেলা জমিয়ত করবে বলে আশ্বাস দেন।
সংগঠনের সভাপতি কাওসার আলী সাহেব দেশকে স্বাধীন করতে আলেম-ওলামাদের তথা জমিয়ত উলামা হিন্দের কি ভূমিকা ছিল সে ব্যাপারে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ সভাপতি মুফতি মনিরুদ্দিন সাহেব, মাওলানা নাজমুল হক মেদনাপুর, মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা আবু বক্কর কাসেমী, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস, কারি রিয়াসতুল্লাহ সাহেব সহ রাজ্য নেতৃত্ব, বিভিন্ন জেলার ও মুর্শিদাবাদ জেলা জমিয়তের সমস্ত ব্লক প্রতিনিধি সহ প্রায়(১৩০০) তেরো’শ জমিয়ত প্রেমিক উপস্থিত ছিলেন।
সভার সমাপ্তি পূর্বে মুফতি মোহাম্মদ নাজমুল হক সাহেব বলেন ভারত বর্ষ থেকে ইংরেজদেরকে উৎখাত ও বিতাড়িত করার জন্য জমিয়ত উলামা হিন্দ সেই সময় মহাত্মা গান্ধীকে জনগণের কাছ থেকে চাঁদা করে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। যার বিনিময়ে এবং যে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই গণতন্ত্র দেশ ঐতিহাসিক সংবিধানময় দেশ পেয়েছি।
তিনি সভা সমাপ্তির পূর্বে মুর্শিদাবাদ জেলায় দশ(১০) লক্ষ সদস্য সংগ্রহের আশ্বাস দেন এবং সভার সকল জনগণ হাত উঠিয়ে সমর্থন করেন, তারপর হযরত মাওলানা বেলাল সাহেব মহান আল্লাহতালার দরবারে বিশ্ববাসী তথা ভারতবর্ষের সমস্ত নাগরিকের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।