বুন্দেলশরে গোরক্ষা বাহিনী তান্ডবে থানা পুড়ে ছাই, এক পুলিশ কর্মীসহ মৃত দুই।

সাইফুদ্দিন মল্লিক, নতুন গতি : গোহত্যার অভিযোগে সোমবার ধুন্ধুমার বাঁধল উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলশহরে৷ পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন স্থানীয়দের একাংশ৷ এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী ও এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর৷ আহত হয়েছেন আরও চার পুলিশ কর্মী৷ তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।

    আজ সকালে বুলন্দশহরে গ্রামের বাইরে জঙ্গলে ২৫ টি গোরুর কঙ্কাল দেখতে পান গ্রামবাসীরা। এরপর ঘটনাস্থানে পৌঁছায় গো-হত্যা বিরোধী সংগঠনের সদস্যরা। তাদের দাবি গোরুগুলিকে গ্রামের অবৈধ কশাইখানায় জবাই করা হয়েছে। এই কাজ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ করেছেন অভিযোগ তুলে উত্তেজনা সৃস্টি করেন গোরক্ষা বাহিনী। তার মৃত গরু কঙ্কাল ফেলে, রাস্তা অবরোধ করেন।

    আজ সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থানে যান জেলাশাসক অনুজ কুমার ঝা। তিনি বলেন, অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাক্টরে চেপে স্থানীয় থানায় পৌঁছায় এবং থানায় হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে তারা। থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। রেহাই পায়নি পুলিশ চৌকিও৷ চিংগরওয়াথি পুলিশ চৌকিতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা৷

    থানার এক অফিসার জানান, বিক্ষোভকারীদের হামলায় মৃত্যু হয় ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং ও এক গ্রামবাসীর। জখম হন চার পুলিশ কনস্টেবল। এক কনস্টেবলের  অবস্থা আশঙ্কাজনক। মোবাইল ফোনে তোলা একটি ভিডিয়ো ক্লিপিং সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জনতার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংয়ের। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ। অপরদিকে মেরুটের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার জানান, উত্তপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে৷

    মৃত পুলিশ কর্মী সুবোধ কুমার
    মৃত পুলিশ কর্মী সুবোধ কুমার সিং

     

    নতুন করে যাতে আর হিংসা ছড়াতে না পারে, তাই এলাকায় পাঁচ কম্পানি RAF ও ছয় কম্পানি প্রোভিনশিয়াল আর্মড কনস্টাবুলারি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থানে পৌঁছেছেন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনেরাল প্রশান্ত কুমার ও ইন্সপেক্টর জেনেরাল রাম কুমার।