ভারতের ছাত্র ফেডারেশন জলপাইগুড়ি সদর দক্ষিণ লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে বিকল্প পাঠশালা

জলপাইগুড়ি: ভারতের ছাত্র ফেডারেশন জলপাইগুড়ি সদর দক্ষিণ লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে মন্ডলঘাট এলাকায় শুরু করা হলো বিকল্প পাঠশালা।চারিদিকে বন্ধ হয়ে আছে পড়াশোনা,ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যাদের পরিবার অভাবের মধ্যে দিয়ে চলছে যাদের একেবারেই সামর্থ নেই মোবাইল কিনবার তারা আর ঘরে বসে থাকতে চাইছে না,তারা চাইছে বন্ধুদের সঙ্গ চাইছে মাঠের ছোয়া জানালেন জলপাইগুড়ির এস এফ আই এর অন্যতম প্রবীন সদস্য অশোক চৌধুরী।তিনি জানালেন অনেক দিন হয়ে গেছে,দুবছরের পরে তিনবছর হয়ে এসেছে বাচ্চাদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ,আর কবে পড়াশোনা শুরু হবে?এইভাবে চলতে শুরু হলে ভবিষ্যতে তো আর কোন জীবন থাকবে না বাচ্চাদের।তাই সরকার কবে কি করবে তার জন্য অপেক্ষা না করে আমরা নিজেরাই উদ্দ্যোগ নিয়েছি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা আরম্ভ করার।এখানে পড়াশোনা করতে ছাত্রছাত্রীদের কোন অর্থ লাগবে না জানালেন সিপিএমের এক জোনাল কমিটির প্রবীন সদস্য।আমাদের উদ্দেশ্য বাচ্চাদের আবার পড়াশোনার জগতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।আর সে চেষ্টাই আমরা করে যাব।

    জলপাইগুড়ি‌র ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অরিন্দম বিশ্বাসের উপস্থিতিতে রবিবার সচেতনতা প্রচার অভিযান চলল জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজার এলাকায়। মাস্ক না পড়ে বাজারে আসা মানুষ‌দের করোনা করোনা পরীক্ষা করা হয় এদিন। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, সেলফ হেল্প গ্ৰুপ সহ পুরসভা কর্মীদের নিয়ে এই অভিযান চালান হয়।

    এদিন স্টেশন বাজারে আসা যে সব ব্যক্তিরা মাস্ক পড়েননি এমন বহু মানুষকে ধরে ধরে করোনা পরীক্ষার ব‍্যবস্থা করান হয়। করোনা‌বিধি না মেনে চলায় জলপাইগুড়ি‌র স্টেশন বাজার থেকে ধরা হয় বেশ কয়েকজন ব‍্যবসায়ী ও ক্রেতা‌কে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে এই অভিযানে ছিলেন পুরসভা ও পুলিশ আধিকারিকরাও। জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় একেবারেই করোনা বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। এই অভিযোগকে মাথায় রেখে এদিন জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশকে নিয়ে শহরের মানুষকে সচেতন করতেই এই অভিযান চালান হয়।