যুদ্ধ ও নির্বাচনী প্রকৌশলের মুখোমুখি দেশ

শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি:

    জম্মু-কাশ্মীর পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় নিহত অর্ধশতাধিক জোয়ান। দেশের সুরক্ষার স্বার্থে বাড়তি কর্তব্যের অঙ্গীকার করা নিয়ে দ্বিমত থাকাটা দেশ বিরোধিতার লক্ষণ। সেটার চেয়েও আরো গুরুত্বপূর্ণ , এই সময় প্রমাণ দিতে হবে আমি কতটা বেশি ভারতবাসী। বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ হলে তো কথাই নেই। আজ, কঠিন সময়। এখন রবিন কুমার সংযত হবে। রহিম শেখ আসলেই ভারতীয় তার পক্ষে প্রমান দেবে!
    শিক্ষিত যুবক, তো কি? চাকুরীর বয়েস পেরিয়ে যাচ্ছে ? চুপ। দেশ এখন সংকটে।

    এখন প্রয়োজন দেশের জন্য আত্মত্যাগ। কারণ দেশ বাঁচলে , তবে না জীবন বাঁচে। বৃদ্ধ অসহায় পিতা-মাতার সেবা, টাকার অভাবে অসহায় কন্যা দায়গ্রস্ত গরিব বাবা ? এসব চিন্তা সংকীর্ণতার লক্ষণ। বছরে দু কোটি চাকুরী, ব্যাংকে পনেরো লক্ষ , ছাড়ো এসব উস্কানি !

    কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেছেন, “দেশে চাকুরী আছে, নেওয়ার লোক নেই।” এর পরেও মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলদের প্রচেষ্টায় নতুন নতুন চাকুরীর প্লাট ফর্ম তৈরি হচ্ছে।
    নিন্দুকেরা তো বলবেই, এসব রসিকতা। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল সার্ভের ২০১৭-‘১৮ বর্ষের রিপোর্ট দেখিয়ে পরিসংখ্যান দিয়ে বলে বলুক যে বেকারত্বের হার যা ছিল , শহর- গ্রাম, বা স্ত্রী-পুরুষ ভেদে বর্তমানেরর এই হার পৌঁছেছে বিগত পঁয়তাল্লিশ বছরের মধ্যে সর্বাধিক।

    আশ্চর্য্যে কথা। বিরোধীরা কখনো পক্ষের কথা বলে না । এটাই তো স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় সরকারের লেবার ব্যুরো কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখন দেখতে হবে দেশের স্বার্থ। রণ নীতি ঠিক করে প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করতে হবে।
    দেশের মোট সম্পদের প্রায় ৮০ শতাংশ আছে দশ ভাগ মানুষের হাতে। মাত্র এক শতাংশ মানুষ ভোগ করে সামগ্রিক দেশীয় সম্পদের অর্ধেকরও বেশি । দেশের ষাটোর্ধ মানুষের হাতে আছে মাত্র পাঁচ শতাংশের মতন সম্পদ।
    এসব কথা বলার সময় এটা নই। প্রতিপক্ষ কে ধূলিসাৎ করে নতুন শক্তিশালী সরকার আসুক।
    আপাতত নোট বাতিল, বেকারত্ব, গরিবের একাউন্টে ধণ প্রাপ্তির মতন বিষয় গুলি চাপা পড়ে থাক!