বেহাল জেটিঘাট! যাত্রী চলা চলের অযোগ্য

বেহাল জেটিঘাট! যাত্রী চলা চলের অযোগ্য

     

     

     

     

     

     

    বাবলু হাসান লস্কর, দঃ চব্বিশ পরগনা : “আম্ফান” নামক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কুলতলির কৈখালি রামকৃষ্ণ আশ্রম সন্নিকট জেটিঘাট। যেটি কৈখালি জেটিঘাট নামে পরিচিত। আমফান নামক ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়েছিলো প্রায় এগারো মাস আগে।এখনো পর্যন্ত সারাই হলো না। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কৈখালী লাগোয়া জেটিঘাট । প্রচন্ড গতিবেগে ধেয়ে আসা আম্ফান ঘূর্ণিঝড় তা আঁচড়ে পড়েছিল এই ঘাটে। এই ঝড়ের এতটা মারণ গতি ছিল ,কয়েক কিলোমিটার নদী বাঁধের সাথে বেশ কয়েকটি জেটি একেবারে বিপর্যস্ত। এখানে পর্যটকদের আনাগোনা প্রায় লেগে থাকে। জেটিঘাট দিয়ে পর্যটকদের যাতায়াত খুবই অসুবিধা, এখানে একটি পারাপার নৌকা চলে দেউলবাড়ীতে পৌঁছাতে এই খেয়া নৌকায় প্রতিনিয়ত হাজার খানেক মানুষ সংকীর্ণ জেটিঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। স্থানীয় পঞ্চায়েত একটুও দৃষ্টিপাত করল না দীর্ঘ সময়ে । পর্যটন মালিকরা নিজের উপার্জনের অর্থে যৎসামান্য সারাই করলেও বেহাল অব্স্থায় অধরাই রয়ে গেছে এই জেটিঘাট টি। এমনই বিচিত্র- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেও প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই,পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষ জন বারে বারে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির কাছে জানায়। তাদের প্রশ্নচিহ্ন আর কতদিন সময় লাগবে এই জেটিঘাট টি সংস্কারে। আগামী দিনে জেটি টি সংস্কার না হলে কুলতলি আশা সুন্দরবন প্রেমিকরা প্রবেশ দ্বারটির নামই ভুলতে বসবে। অচিরে পর্যটকরা এখানে আসবে কি?