ইয়াস পরবর্তীকালে রাজ্য সরকারকে পাশে থাকার আর্জি হুবু অধ্যাপকদের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মানুষের বেঁচে থাকার স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। তারপরেও হাল ছাড়নি অনেকে। বেঁচে থাকার লড়াই চালিছে যাচ্ছেন তারা। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন বাংলার হুবু অধ্যাপকেরা। যারা ২০১৮ সালে মেধা তালিকাভুক্ত হয়েও কলেজের চাকরি পাননি। তারাই এবার নিজেদের পরিবার বাঁচানোর আশায় রাজ্য সরকারকে পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন।

    জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে কলেজ সার্ভিসের মেধা তালিকাভুক্তরা অনেকেই সামান্য টিউশানি করে যারা সংসার চালাতেন বা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। কিন্তু মহামারী করোনা তাঁদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, গত বছর আমফানের সময় এদেরই অনেক পরিবার সর্বশান্ত হয়েছিল, এবার ইয়াসও ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তাদের অনেকের ঘর-বাড়ি, সম্পত্তি। তাই এবার সর্বস্বান্ত হয়ে রাজ্য সরকারকে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন তারা। এদেরই একজন সুপ্রিয় দাস বলেন- ‘বাঁচার আর কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছি না।’ তারপরেই তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা অপেক্ষায় রয়েছি, বহুবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, বিভিন্ন দপ্তরে অনুরোধ জানিয়ে এসেছি। এবার আশা করছি বর্তমান পরিস্থিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মহাশয় আমাদের যন্ত্রণার কথা উপলব্ধি করে সদর্থক পদক্ষেপ নেবেন।’

    শুধুই কি আর্জি?- না। সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই বাংলার হুবু অধ্যাপকেরা। সূত্রের খবর, করোনা মোকাবিলায় তারা গতবছর ‘মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে’ ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছিল, এবারও তারা অর্থ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া, পোস্টার বানিয়ে জনসচেতনার কাজের পাশাপাশি জেলায় জেলায় মানুষ যাতে করোনা চিকিৎসার হয়রানি না হয়ে সঠিক সহায়তা কেন্দ্র বা সংস্থার সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারেন, সে কাজ তারা শুরু করছেন। এপ্রসঙ্গে মেধা তালিকাভুক্ত সংগঠনের সদস্য সেখ আবদুল হামিদ জানান- ‘ভবিষ্যতে করোনা পরবর্তী শিক্ষার গতিমুখ কী হতে পারে তা নিয়ে অনলাইনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে সেমিনার সিরিজ এবং আরো কিছু জনকল্যাণমুখী কাজের পরিকল্পনা আমাদের আছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আমরা তা শুরু করবো।’

    এদিকে, মেধা তালিকাভুক্ত সংগঠনের আরেক সদস্য প্রণবকুমার রায় জানিয়েছেন, ‘আমারা জানি রাজ্যের কলেজগুলিতে কয়েক হাজার অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। এমনকি, প্রায় এক হাজারের মতো পদ বিকাশ ভবনের অনুমোদন পেয়ে পড়ে থাকলেও আমাদের মতো কয়েকশ মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থী এখনও নিয়োগ পাননি। তাই, এবার আমারা আশা করছি, নতুন রাজ্য সরকার ও শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়টি মানবিক দিক থেকে দেখবেন। এবং উচ্চ-শিক্ষার হাল ধরে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আমাদেরকে কাছে টেনে নেবেন।’

    ধন্যবাদান্তে,
    2018 CSC Empanelled Candidates Organization এর পক্ষে
    সেখ আবদুল হামিদ- 9830066736
    প্রণবকুমার রায়- 9647022482