ইউটিউব দেখে মেডিকেলে তাক লাগানো র‍্যাঙ্ক ভাঙড়ের জহিরুদ্দিন বিশ্বাসের

সাকিব হাসান, দঃ ২৪ পরগনা: কথায় বলে অদম্য জেদ আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কোন কঠিন কাজ খুব সহজেই করা যায়।ইচ্ছাশক্তির জেরেই কোনরকম টিউশন ছাড়া শুধু ইউটিউব দেখে মেডিকেলে তাক লাগানো র‍্যাঙ্ক করা যায় সেটা দেখিয়ে দিয়েছে ভাঙড়ের জহিরুদ্দিন বিশ্বাস। কোনরকম কোচিং ক্লাস ছাড়াই সর্বভারতীয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় (এনইইটি) বসে ১৯৪৭ র‍্যাঙ্ক করেছে জহির।এখন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর জহিরুদ্দিন চাইছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে পড়তে।

    ভাঙড়ের বিতর্কিত পাওয়ার গ্রিড সাব ষ্টেশন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে শ্যামনগরে বাড়ি জহিরুদ্দিনের।জমি কমিটির শক্ত ঘাটিগুলির মধ্যে অন্যতম শ্যামনগর।চোখের সামনে বোমা-গুলির লড়াই দেখেছেন জহিরুদ্দিনের বাবা নজরুল বিশ্বাস। পাড়ায় একটি ছোট মুদি দোকান চালান তিনি। পকেটে পয়সা না থাকলেও স্বপ্নটা বিরাট। তাই ছেলেকে মুর্শিদাবাদের বসন্তপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেছিলেন।মেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করছেন। জাহিরুদ্দিন মুর্শিদাবাদ থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পর আল আমিন মিশনে ভর্তি হয়।টাকা পয়সার অভাব থাকায় নিজেই ইউটিউব দেখে বিভিন্ন ফ্রি কোচিং ক্লাস নেয় মেডিকেল সংক্রান্ত। সেখান থেকেই এই সাফল্য এসেছে তার। আজ তার ও তার পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সমাজ সেবার ময়দানে কর্মরত জুলফিকার আলি মোল্লা,আব্দুর রহমান,শিক্ষক আরিফ মল্লিক, রামিজ রাজা। সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে তার আগামীর পথ চলা নিয়ে মতবিনিময় হয়। আর্থিক অসচ্ছলতা ও দারিদ্রতা যে শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা নয় তা প্রমাণিত করলো জহির।