মেদিনীপুরে উরস উপলক্ষে দুই বাংলার মিলন মেলা

সেখ মহম্মদ ইমরান, নতুন গতি, মেদিনীপুর: মেদিনীপুরের মিয়া বাজার জোড়া মসজিদে ১১৯ তম আন্তর্জাতিক ঊরস উৎসব শুরু হলো। এই ঊরস মেলায় যোগদানের জন্য বাংলাদেশের পুণ্যার্থীরা বাংলাদেশের রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে “ঊরস স্পেশাল ট্রেন” শনিবার রাত দশটায় ছেড়ে সোমবার মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছায়। আঞ্জুমান ই কাদেরিয়া রাজবাড়ির ব্যবস্থাপনায় ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত ২৪টি বগি সম্বলিত “ঊরস স্পেশাল ট্রেন” টিতে মোট 2323 জন পুণ্যার্থী মেদিনীপুরে আসেন। স্টেশনের বাইরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্নার্থীদের গোলাপ, চকোলেট ,মিষ্টি ইত্যাদি দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়। তবে এবারে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সকল পূর্নার্থীর বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের ব্যবস্থা করে হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের কার্যকরী সভাপতি আলী আকবর খান জানিয়েছেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে বিদেশি পূর্নার্থীদের জন্য সব রকম সাহায্যের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রশাসনের সঙ্গে আমরাও সতর্ক আছি। আগত সমস্ত পূর্নার্থীদের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে হার্দিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।

    উল্লেখ্য, আলী আব্দুল কাদের সামছুল কাদের হজরত সৈয়দ শাহ মোরশেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরীর (আ.) ১১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই ঊরস
    উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। মেদিনীপুর শহরের মিয়াবাজারের জোড়া মসজিদে ফি বছর ৪ঠা ফাল্গুন এই দিনটি পালন করা হয়। জাতি ধৰ্ম বর্ন নির্বিশেষে লাখো মানুষ এই উৎসবে যোগদান করে। রকমারি হালুয়া প্যাড়া সন্দেশ মিহিদান বিভিন্ন স্বাদের খাবারের দোকান বসেছে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই “ঊরস স্পেশাল ট্রেন”টি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। ঊরস উৎসব শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজবাড়ীতে ফিরে যাবে। ভারতের পক্ষ থেকে এই এরকমই আতিথ্য পেয়ে বাংলাদেশি পূর্নাথীরা অভিভূত।