ছাড়িগঙ্গায় কচুরিপানায় আটকে পড়ে একজন অসুস্থ রোগী, একজন মহিলা দুজন বাচ্চা-সহ মোট ৯ জন সকাল ছ’টা থেকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : দু’হাজার পরিবারের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম মজে যাওয়া ছাড়িগঙ্গা এখন কচুরিপানায় ভর্তি। মাঝখানে নৌকা-সহ আট যাত্রী আটকে সকাল থেকে, শান্তিপুর বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের চর পানপাড়ায় ছাড়িগঙ্গায় কচুরিপানা ভর্তি হয়ে নৌকা পারাপারের সমস্যা দীর্ঘদিনের। একই পঞ্চায়েতের ও-পাশের কলডাঙ্গা পানপাড়া। এলাকার আনুমানিক প্রায় এক হাজার পরিবারের স্কুল, কলেজ, চিকিৎসা, ব্যবসা, সড়ক অথবা রেলপথে কোথাও যাওয়ার জন্য শান্তিপুরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান এই জলপথ।

     

    শান্তিপুরের দিকে এ পারের বেলেমাঠের শতাধিক কৃষকের ওপারে যেতে হয় কৃষি শ্রমিকের কাজ করতে অথবা নিজের জমিতে চাষ করতে। মাত্র এই ১ কিলোমিটার পথ সড়কপথে যেতে গেলে প্রায় আট কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। স্বভাবতই এই পথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু-পারের প্রায় দুই হাজার পরিবারের জন্য। প্রতি বছরেই নিত্য এই সমস্যা স্থায়ী সমাধান পাননি এলাকাবাসী।এ দিন সকালে ওই ছাড়ি গঙ্গা পার হতে গিয়ে একটি নৌকা আটকে পড়ে মাঝখানে। যার মধ্যে একজন অসুস্থ রোগী, একজন মহিলা দুজন বাচ্চা-সহ মোট ৯ জন আটকে থাকে সকাল ছ’টা থেকে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন হোক বা সমষ্টি উন্নয়ন অফিস, প্রথম এক ঘণ্টা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা টিম শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন এবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন অফিসের কর্মীরা এসে পৌঁছন ঘটনাস্থলে এবং উদ্ধারকার্য চলে।এলাকাবাসীদের দাবি, “পঞ্চায়েতের দায়িত্ব তৃণমূল থেকে বিজেপিতে। তবে আগের পঞ্চায়েত সদস্য হোক বা বর্তমান, সমস্যার সমাধানে পাশে এসে দাঁড়ায়নি এখনও পর্যন্ত কেউই। যদিও ওই এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি তথা সদ্য জয়লাভ করা বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্য উত্তম বিশ্বাসের ওই এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে তিনি সকাল থেকেই যথেষ্ট তৎপর ছিলেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন হল বোর্ড গঠন হয়েছে, তবে আগামীতে এই সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকব আমরা।”