|
---|
অতনু ঘোষ, মেমারি: ক্রমশ করোনা আর ক্ষনিকের নিম্নচাপের রেশ কিছুটা হলেও কাটিয়ে ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আপামর বাঙালী। তার মধ্যেই দোরগোড়ায় এসে গেছে সকলের প্রতীক্ষিত শারদউৎসব। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই বাঙালী সেজে উঠবে তার নিজস্ব ছন্দে। তবে করোনার কারণে এবার সেই সাজো সাজো রবে কিছুটা হলেও ছেদ পড়েছে।
পুজোয় মানুষের পাশে ওরা। মানে ‘ মেমারির আঁচল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’।
গত মহালয়ার দিনে তারা এলাকার দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ করেছে।
এবার তারা আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছোট ছোট শিশুদের পাশে হাজির হলেন।
শিশু দের গড়ে তোলার উত্তম পন্থা হলো তাদেরকে আনন্দ দেওয়া, আর তাই গতকাল ও আজ আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মোট 60 জন ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে স্থানীয় দোকানে নিয়ে গিয়ে তাদের মনের মত জুতো ও জামা প্যান্ট কিনে দিয়ে কচিকাচাদের মন আনন্দে ভরিয়ে তুলল আঁচলের সদস্য সদস্যরা।নতুন জামা প্যান্ট জুতো পেয়ে শিশুরা খুশিতে আত্মহারা।
করণা আবহে গত বছরের ন্যায় এ বছরও পুজোর আনন্দে অনেকটাই ছেদ পড়ছে।
তবে মায়ের আগমনের বার্তা নিয়ে গোটা পৃথিবী আবার তার পুরনো ছন্দে ফিরুক সেই আশায় বুক বেঁধে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে সকলেই।
‘কাজ করব আমরা, পাশে থাকবেন আপনারা’ এই বার্তা নিয়েই সব রকম কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ অসহায় দুঃস্থ মানুষদের জন্য কাজ করে চলেছে আঁচল।
এই সব কিছুই একদিন শুরু হয়েছিল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ নিয়ে,আর সেটাই আজও পর্যন্ত বজায় আছে আঁচলের।