|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : দার্জিলিঙে সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল,কিন্তু সাক্ষাৎ হলে রাজভবনেই হবে সাফ জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনে ধরনা মঞ্চে একাই বসবেন। গতকালই আমরা বলেছিলাম রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে । গতকাল রাজভবনের তরফ থেকে একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। প্রথমেই বলবো এটা ফেরাও নয় ঘেরাও গেটে হয় আমাদের অবস্থান মঞ্চ গেট থেকে অনেকটা দূরে । আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছি। আমার রাজভবন যেতে ২ থেকে আড়াই মিনিট কিন্তু ওনার ফ্লাইট এ আসলেও সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘন্টা। আমাকে সোমবারে ইমেল করা হয় রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে রয়েছেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। আমাদের প্রতিনিধি দল যদি অনুসরণ শিলিগুড়ি বা কলকাতায় দেখা করতে চায় তাহলে আমরা যেভাবে চাই উনি দেখা করবেন। উনি এখনো শিলিগুড়িতে আসেননি দিল্লিতেই রয়েছেন। অথচ উনি বলছেন উনি শিলিগুড়িতেই রয়েছেন পরিস্থিতি ভালো বলে কলকাতায় আসবেন। যদি পরিস্থিতি ভালো হলে কলকাতায় আসেন তাহলে হঠাৎ করে দিল্লিতে পালিয়ে গেলেন কেনো । দিল্লি থেকে বাগডোগরা হয়ে কলকাতায় আসুন। আপনি তো দিল্লির রাজ্যপাল না বাংলার রাজ্যপাল। আপনি দু ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলে চলে গেলেন এই আপনার পরিদর্শন। কার থেকে নির্দেশ নিতে দিল্লিতে গিয়েছেন। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দিল্লিতে রাজ্যপালের সফরসূচি কি। বাংলার মানুষের হয়ে কথা বলতে গিয়েছেন বাংলার কথা বলতে গিয়েছেন কি করতে গেছেন। গত ৩ তারিখ দিল্লিতে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটার নিন্দা করে রাজ্যপাল বিবৃতি প্রকাশ করেননি। উনি বাংলায় আসলে আমরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে দার্জিলিং গিয়ে দেখা করতে পারতাম। *উনি মেইল করেছেন আগামীকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উনি দেখা করবেন।* *আগামীকাল সুব্রত বক্সের নেতৃত্বে তিনজনে যাবে ।কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদীপ মজুমদার মহুয়া মিত্র । তবে কলকাতায় এই ধরনা মঞ্চে এসে আপনাকে আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমার নেতৃত্ব বাংলার মানুষের এই ৫০ হাজার চিঠি এবং মূল ডেলিগেশন আপনার কাছে জমা দেব। আগামীকাল আমাদের প্রতিনিধি দল দার্জিলিং এ গিয়ে রাজ্যপালকে বলবে আমাদের মূল ডেলিগেশন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।*
নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করার আপনার যে শখ সুপ্রিম কোর্ট সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। আপনি যাদের নির্দেশ নিতে যাচ্ছেন তারাও পার পাবে না । বলেছিলাম জমিদারি প্রথা পতন ঘটাবো।জমিদারি প্রথা পতনের প্রথম ধাপ আজকে সুপ্রিম কোর্টের রায়।
আগামীকাল বিজেপি একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন তবে কেউ জানে না সেই সাংবাদিক বৈঠকে কি হবে। সংবাদ বৈঠকে কি হবে আমি বলে দিচ্ছি। কালকের ছবি দেখে আজকে পর্যন্ত এই ধরলাম মঞ্চ দেখে নরেন্দ্র মোদির ঘুম উরে গেছে। তৃণমূল লোক নিয়ে যায়নি লোক তৃণমূলকে নিয়ে গিয়েছে। *আগামীকাল নিরঞ্জন জ্যোতি বা গিরিরাজ কেউ একজন আসবেন এই বাংলায় শুধুমাত্র একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে।*
*আগামীকাল তিনজন প্রতিনিধি সকালে দলের তরফ থেকে ফ্লাইট ধরে দার্জিলিং যাবে আবার দার্জিলিং থেকে ফিরবে। আপনি যদি ভাবেন পুজো কাটিয়ে আসবো। সপ্তম অষ্টমীতে আমি একা বসে থাকব কাউকে থাকতে হবে না।*
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। রাজ্যপালের কাছে প্রশ্ন কুড়িল লক্ষ্য মানুষ বাংলা থেকে মানরেগার কাজ করেছে কিনা আর যদি কাজ করে থাকে তাহলে তাদের বেতন কিভাবে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্যপাল নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রের কাছে এই দাবিগুলি চিঠি লিখে জানিয়ে প্রশ্নর উত্তর আমাদেরকে জানান।