“শুনছি কেউ কেউ চাইছেন ডায়মন্ড হারবার থেকে দাঁড়াতে”: অভিষেক বন্দোপাধ্যায়

দেবজিৎ মুখার্জি, ডায়মন্ড হারবার: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। আর সেই ভোটযুদ্ধে এ রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র হতে চলেছে ডায়মন্ড হারবার। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কে লড়বেন, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নওশাদ সিদ্দিকির নাম উঠে আসছে। আর তাঁকে সেখানে সমর্থন জানানোর ইঙ্গিত মিলেছে সবকটি বিরোধী শিবিরের তরফে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ফলতায় বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে অভিষেক কিন্তু কড়া বার্তাই দিলেন। নাম না করে রাজনীতির ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ”টাকা নিয়ে সেটিং, ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরি করা একজন জনপ্রতিনিধির কাজ নয়। তাঁদের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।”

    ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ বহু আলোচিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুবার সাংসদ থাকাকালীন সেখানকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে শোনা যায় বাসিন্দাদের কাছেই। আর সেই উন্নয়নই তাঁর জনসমর্থনের মূল ভিত্তি। এবার তাঁকে হারাতে তলে তলে ‘ত্রিফলা’ জোট তৈরি হচ্ছে বলে বঙ্গ রাজনীতিতে জোরদার হাওয়া। অভিষেকের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে লড়তে পারেন নওশাদ সিদ্দিকি। আর তাঁকে সমর্থন দেবে বিজেপি, বাম, কংগ্রেস। কানাঘুষোয় এমনই শোনা যাচ্ছে। নওশাদ নিজেও যে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হতে মুখিয়ে রয়েছেন, তাও স্পষ্ট করেছেন তিনি।

    শুক্রবার জনসংযোগে নেমে অভিষেক নাম না করে বলেন, ”শুনছি কেউ কেউ চাইছেন ডায়মন্ড হারবার থেকে দাঁড়াতে। সে দাঁড়াক। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেও দাঁড়াতে পারে। এটা তো গণতন্ত্র। শুধু আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ৩ লক্ষ ২১ হাজার এর ব্যবধান এবার চার লক্ষে নিয়ে যান। ফলতার ব্যবধান এবার ৪৫০০০ থেকে ৭০ হাজার করতে হবে আপনাদেরই। ওরা যেই দাঁড়াক, ভোকাট্টা হয়ে যাবে, উড়ে যাবে।আমি যতদিন আছি, এখানে কোনওদিন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেব না।”

    শুভেন্দু-সেলিম-অধীররা যতই অভিষেককে হারাতে চক্রব্যূহ তৈরির পরিকল্পনা করুন না কেন, নিজের গড়ে জনসমর্থন নিয়ে মাটি আরও শক্ত করবেন অভিষেক, তা চ্যালঞ্জের সুরেই জানিয়ে দিলেন। এদিন সিপিএমকেও একহাত নিয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, সিপিএমও সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলে অভিষেককে ভোটে হারাতে চেয়েছিল। সিপিএম ও বিজেপিকে এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ”যারা সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে হারাতে চেয়েছিল, তাদের কী করুণ পরিণতি দেখুন। তাদের নামও আজ কেউ মুখে আনে না।”