যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বহিরাগতদের হস্টেল ছাড়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা পরেই নড়েচড়ে বসেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে বহিরাগতরা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। তাছাড়া সেখানে বেশ কয়েকটি র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় বহিরাগতদের অবিলম্বে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলে পড়ুয়াদের তুলনায় বহিরাগতদের সংখ্যা বেশি। তারপরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বহিরাগতদের হস্টেল ছাড়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। একইসঙ্গে হস্টেলে কোনওভাবেই যে র‍্যাগিং বরদাস্ত করা হবে না সে কথাও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলিতে বহিরাগত বা প্রাক্তনীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর সেই বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে হস্টেলগুলিতে বহিরাগত এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা দফতরের।

     

    নিয়ম অনুযায়ী, বহিরাগতরা কোনওভাবেই হস্টেলে থাকতে পারে না। তারপরেও কীভাবে বহিরাগতরা হস্টেলে রয়েছে? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ ঘটেছে প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে জানা যায়, সৌরভ এমএসসি সম্পন্ন করার পরেও এক বছর ধরে হস্টেলে ছিল। এই ঘটনার পরেই প্রাক্তনীদের অবিলম্বে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার সেই পথে হেঁটেই একই নির্দেশ দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

     

    অভিযোগ উঠেছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এক ছাত্রের অভিযোগ তাঁকে কয়েক বছর আগে র‍্যাগিং করা হয়েছিল। কিন্তু সেইসময় ভয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর সে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলে ছাত্রদের তুলনায় বহিরাগতদের সংখ্যা বেশি এবং বহিরাগতরা সেখানে থাকার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়াও করছে।