তিনদিন পর স্ব-ইচ্ছায় দক্ষিণ রায় জঙ্গলে ফিরে যাওয়ায়, স্বস্তির নিঃশ্বাস বনকর্মীদের

হাসান লস্কর কুলতলী দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী অঞ্চলের গৌড়ের চক এলাকায় দুই দিন কাটার পর তিন দিনের মাথায় জঙ্গলে ফিরে গেল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। গভীর জঙ্গল মুখি করতে বনদপ্তরের যুদ্ধকালীন তৎপরতা দেখা যায়। বাঘ তাড়াতে ঘুম পাড়ানি গুলি কাজে আর আসলোনা বনদপ্তরের কর্মীদের। আজমল মারির জঙ্গল থেকে মাকড়ি নদী সাঁতরে অন্য জঙ্গলে বাঘকে তাড়াতে বাজি,পটকা ফাটায় বনদপ্তরের কর্মীরা। প্রথম দিনের রাতে-অন্ধকার থাকায় আতঙ্ক তত ছড়ায় এলাকায়। যে কোন

    মুহূর্তে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে বাঘ। তবে বনদপ্তর থেকে এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় এক ফিসারির মালিক কিছুটা আলোর ব্যবস্থা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বনকর্মীদের সাথে ডব্লু টি আই এর একাধিক কর্মী গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী অঞ্চলের দুইটি টাইগার রেসকিউ টিম এর সদস্যরা অসীম সাহসিকতায় তারা জঙ্গলের মধ্যে কাউকে দেখা গেল লাঠি হাতে কেউবা টিন হাতে নিয়ে ,ঘুমপাড়ানি বন্দুক হাতে দেখা গেল বনদপ্তরের কর্মী নরুলকে । মুহূর্তে বাঘের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে ও একাধিক নতুন নতুন জায়গা বাঘ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাতে বেগ পেতে হচ্ছে বনকর্মীদের।পরের দিন রাতে বাঘ মামা বন্য শুকর ধরে খাওয়ায় বাঘের পায়ের ছাপ ও পশুর দেহাংশ দেখা মেলে। এতে আতঙ্ক আরো ছড়ায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলির মৈপিঠ কোস্টাল থানার অন্তর্গত ভুবনেশ্বরীর গৌড়েরচক এলাকায়। শনিবার সকালে গ্রামের মানুষরা গ্রামের দিকে মাকড়ি নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায়। তাঁরাই বন দফতর ও পুলিশকে খবর দেয়। বন দফতর ও পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক অনুমান গ্রামের দিকে নদীর পাড়ে থাকা ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে এখনও বাঘটি রয়েছে। আর সেই কারণে সেই এলাকা নাইলনের জাল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করে বন দফতর। ড্রোন উড়িয়ে জঙ্গলে বাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করে বনদপ্তরের কর্মীরা। পাশাপাশি এলাকায় পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়। ডব্লিউ টি আই সদস্যদের সাথে নিয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা জঙ্গলের মধ্যে বাঘ খুঁজতে বার হয়। বাঘের খবর চাউর হতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বন দফতরের দাবি, উল্টোদিকের আজমলমারির জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে মাকড়ি নদী সাঁতরে গ্রামে চলে এসেছে। রাতে খাঁচা পাতা হয়। পরে,বাঘ ধরার বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন ডিএফ ও মিলন কান্তি মন্ডল।,গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরীর গৌড়ের চক গ্রামে দেখা গেল এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী রায়দিঘি রেঞ্জার সুবায়ু সাহা কুলতলী বিটের শামীম প্রধান,সুকমল চক্রবর্তী, নুরুল হক লস্কর ও নলগোঁড়া বিটের সনদ দে বনি ক্যাম্প এর আমির চাঁদ মণ্ডল কে। শেষ মুহূর্তে খাঁচা রেডি করতে দেখা দেল বনকর্মীদের, মুহূর্তে তা পাতা হয় এবং দেয়া হবে টোপ সেই টপ ফেলে স্বইচ্ছায় আজমল মারির জঙ্গলের দিকে চলে গেল সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এতে বনদপ্তরের কর্মীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে, বনকর্মীদের সাথে গ্রামবাসীরা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।