|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি, নদীয়া: ফের প্রকাশ্যে আক্রান্ত তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ও তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুলিও চলে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর কালিপুর এলাকায়। পুজোর মুখে এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল গভীর রাতে ঘর থেকে ডেকে বের করে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের করেছে দুষ্কৃতীরা। বেলঘড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান উপপ্রধান দায়িত্ব রয়েছেন দীপক মণ্ডল। জানা যায়, একদল দুষ্কৃতী রাত একটা নাগাদ বাড়িতে এসে দীপক মণ্ডলকে ডাক দেয়। সেই ডাক শুনে ঘর বেরতেই বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্ত্রী ঠেকাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
দীপকবাবুর অভিযোগ, “গতকাল গভীর রাতে আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চিৎকার চেঁচামেচি করতেই এলাকার লোকজন ছুটে আসতেই শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।”
যদিও শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও শাসকদলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন, “পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন থেকেই এটা তাদের গোষ্ঠীকোন্দল তৈরি হয়েছে। ফলস্বরূপ এই ঘটনা। বিজেপি কখনও বোমা-বন্দুকের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। এটা পঞ্চায়েতের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ওদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।”