|
---|
নূর মোহাম্মদ খান,নতুন গতি, আরামবাগ: এ যেন আর এক ছিটমহল আরান্ডি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শেষ সীমানাই শীতলপুরের মৌজাই একটি রাস্তা যেটি গোবরা পাড়া থেকে মাধবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর জয়সিংহ চক( কালুপাড়ার) মধ্যে গিয়ে মিশেছে । যাতায়াত করে মাধবপুর পঞ্চায়েতের অধীনে জয়সিংহ চক কালুপাড়ার মানুষরা ।এই রাস্তাটি নির্মাণ হয়েছিল ২০১০ সালে। এই রাস্তার মধ্যে আছে একটি জয়সিংহ চক প্রাথমিক বিদ্যালয়, যেখানে জয়সিংহ (কালুপাড়া) গ্রামের বা শীতলপুর এলাকার এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা ওই স্কুলে পড়াশোনা করে, এবং স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতের এই রাস্তাটিই হল একমাত্র পথ, যেখানে সেই রাস্তাটির বেহাল দশা। অতএব দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অর্থাৎ ধামসা পি.সি.সেন ইনস্টিটিউশন ও ডি হি বাগনান কে.বি রাই উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে এই গ্রামের ৮০% ছাত্র- ছাত্রীর একমাত্র পথই হলো ওই রাস্তা এবং স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক এ যাতায়াতের জন্য ওই রাস্তাটি খুবই প্রয়োজন হয়, অর্থাৎ রাস্তার দশা খুবই জরাজীর্ণ। দীর্ঘ 10 বছর কোনো কাজ হয়নি এই রাস্তার মধ্যে, কাজ তো দূরের কথা মেরামত করারও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। জয়সিংহ (কালুপাড়ার) গ্রামবাসীরা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে আরান্ডি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সোহরাব হোসেন ও শীতল পুরের বর্তমান মেম্বার শেখ বাপন এই দুইজনের কাছে বারবার আবেদন করা সত্বেও পঞ্চায়েতের প্রধান ও মেম্বার এই রাস্তার ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেননি। এই রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন কোনো কাজ না করার কারণে রাস্তাটির অবস্থা খুবই করুণ হয়ে উঠেছে। এখানে যদি কোনো স্কুলের ছাত্র ছাত্রী বা গ্রামের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদেরকে প্রায় ১ কিমি দূরে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্স এ বসাতে হয় অর্থাৎ রাস্তাটির দশা এমনই বা কোনো রোগী মারা গেলে তাকে ১ কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেওয়া হয় যেখানে এম্বুলেন্স গ্রামে প্রবেশ করতে না পারার কারণে অর্থাৎ এমনই বেহাল দশা হয়ে আছে ওই রাস্তাটির। যেখানে পঞ্চায়েতের একই মৌজার রাস্তা ধামসা থেকে গোবরা পাড়া পর্যন্ত প্রতি বছরই মেরামত করা হয় কিন্তু কালুপাড়া দিকের এই রাস্তাটি আরান্ডী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হওয়া সত্বেও এ রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বারবার অভিযোগ করার পরেও অভিযোগ কর্ণপাত করা হচ্ছে না । কে সংস্কার করবে রাস্তাটি আরান্ডী ১ না মাধবপুর এই নিয়ে সমস্যা । এখানে ছোট ছোট শিশুরা ওই দুর্দশা রাস্তার উপর দিয়েই বিদ্যালয় আসে। বর্ষাকালে রাস্তাটির এমনই দশা হয়ে যায় যে একটি বাইসাইকেল যাতায়াতের জন্য খুবই কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। এই রাস্তাটির বেহাল দুর্দশা কারণে গ্রামের মানুষ, ছাত্রছাত্রীরা ও শিক্ষক দের যাতায়াতের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। তাই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এলাকার মানুষ । এলাকায় চাপা উত্তেজনা ।