প্রাচীন যাত্রা পালা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে রাস মিলন উৎসবের মঞ্চে অরুময় গায়েন

বাইজিদ মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার:- আগে শহরাঞ্চলে মঞ্চ নাটক, গ্রামে যাত্রাপালা বেশ জনপ্রিয় ছিল কিন্তু এখন সেটা কমে গেছে বা হারিয়ে যেতে বসেছে। কীভাবে একে পুনরুজ্জীবিত করা যায় সেই লক্ষে অষ্টমী নাট্য সংস্থার সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবার ২নম্বর ব্লক সভাপতি অরুময় গায়েন তিনি রাধামাধব রাস মিলন উৎসবে সামাজিক যাত্রা পালা স্মৃতি আকাশের সুখ তারা নিয়ে হাজির হয়। আগে দেখা যেত শীতের সময় এলেই যাত্রাপালা শুরু হয়ে যেত। মাঝে মাঝে তো পুরো একসপ্তাহ ধরে। সিজন টিকিট পাওয়া যেত। শুরু হওয়ার এক মাস আগে থেকে মাইক নিয়ে এনাউস (announcement) শুরু হয়ে যেত, সাথে চারদিকে পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ আর লিফলেট বিলি। ওই পোস্টার আর লিফলেটের ওপর কেমন একটা আকর্ষণ ছিল। যাই হোক, লিফলেট নিয়ে মা, পাড়া

    সেই সময়ে মনোরঞ্জন করবার জন্য সন্ধ্যা বেলায় কীর্তন আর বাউল গান ছাড়া তেমন কিছু ছিল না। ধান কাটবার পর ধানবেচা টাকাতে যাত্রার জন্য চাঁদা দেওয়া কোনো অসুবিধে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে টিভি তে রোজ মনোরঞ্জন চলে । যাত্রার অনুষ্ঠানে টিভির মত জমকালো সেট সম্ভব নয়। যাত্রার কাহিনীর সেই আবেগ ঘন থিম আর অভিনয় এখন গ্রামের লোকদের কাছে তেমন আকর্ষণীয় নয়। আগেকার দিনে বিনোদনের এক মাত্র ব্যাবস্থা ছিল গান , নাচ, নাটক, যাত্রা পালা ইত্যাদি।তখনো টকিজ বা সিনেমার পত্তন হয়ে নি এ দেশে বা হয়ে থাকলে ও গ্রাম বাংলা পর্যন্ত এসে পৌঁছাত না। তখন একমাত্র সাহিত্য চর্চা আঁতলামো পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এর পড় যখন সিনেমা বা চলচিত্র শহর ছেড়ে মফঃস্বল এ পাড়ি দিল আর বিদেশি সংস্কৃতি হাঁটি হাঁটি পা পা করে গঞ্জের গণ্ডি পেরিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাল তখন আর দিশি সাহিত্য কারো রুচিতে আর ধরল না। এবং ধীরে ধীরে যাত্রা পালা হারিয়ে যেতে বসলো। আর সেই যাত্রা পালা ধরে রাখতে প্রতি বছর গোয়ানারা গোবিন্দ পুর অষ্টমী নাট্য সংস্থার সভাপতি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী অরুময় গায়েন নিত্র নতুন সামাজিক যাত্রা পালা নিয়ে হাজির হয়। পাশাপাশি এদিন গোয়ানারা গোবিন্দ পুর রাধামাধব রাস মিলন উৎসবের শেষের দিনে সামাজিক যাত্রা পালা স্মৃতি আকাশের সুখ তারা এই যাত্রা পালার মধ্যে দিয়ে ১৪ দিনের এই মিলন উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। অষ্টমী নাট্য সংস্থার সভাপতি তথা ডা:হা: ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুময় গায়েন বলেন রাজ্যের রূপকার দরদী মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে প্যাথেও করে এই মিলন উৎসবের আয়োজন এবং বিশিষ্ঠ যাত্রা শিল্পী ও পরিচালকদের বিশেষ সংবর্ধনা দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।