আন্দোলনে নামতে চলেছেন আশাকর্মীরা

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :
একের পর এক কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে আশাকর্মীদের উপরে। আর এই কাজ করতে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে দিনের পর দিন, অথচ তাদের কে সঠিক সময়ে দেওয়া হচ্ছে না বেতন সহ ন্যায্য অধিকার। সরকার আশা কর্মীদের স্বাস্থ্যকর্মী আখ্যা দিয়েও সঠিক বেতন থেকে তাদের বঞ্চিত করা হছে এমনি আর কত দিন চলবে? করোনা নামক মারণ ব্যাধির মুহুর্তে মানুষ জন গৃহবন্দি তখন নিজেদের জীবন বাজি রাখতে একটু ও পিছপা হননি আশাকর্মীরা। এই মুহূর্তে তারা নিজেদের পরিবার পরিজনদের কে নিয়ে সংকটে আছেন।

    আশা কর্মীরা প্রতিদিনের মতো সকালে উঠে সরকারের দেওয়া পোশাকটি পরিধান করে গ্রামের গর্ভবতী প্রসূতি মহিলা সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন ও শারীরিক সমস্যা নিয়ে কথা-বার্তা বলে। বিশেষত্ব মা ও শিশুর যত্ন নেওয়ার বার্তা দিতে হাজির হয় দুয়ারে দুয়ারে। কোথাওবা আয়রন ট্যাবলেট,কোন বাড়িতে জ্বর,সর্দি, কাশি, ও শিশুরা কি ইঞ্জেকশন পাবে তা জানান দিতে। প্রতিদিনে ত্রিশ থেকে চল্লিশ টি বাড়িতে যেতে হয় তাদের। মাও শিশুর যত্ন, জন্মনিয়ন্ত্র সম্পর্কে সচেতন করতে মায়েদের কে জানান দেয়া,পরে বাড়িতে ফিরে নিজ সংসারের সমস্ত কাজ সারা । সপ্তাহে বুধবার যেতে হয় সাব সেন্টারে,যেখানে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের ইনজেকশন সহ চেক আপে সহযোগিতা করা । মাসে এক দিন নিজ পঞ্চায়েতে মিটিয়ে হাজির হতে হয়,যেখানে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রিপোর্ট জমা ও মিটিংয়ের জন্য যেতে হয় তাদের । প্রতিটি গ্রামে মাসে একদিন স্পেশাল ক্যাম্প করতে হয় গর্ভবতী ও প্রসূতি অন্য। অন্য দিনে কিশোরীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকে হাজির থাকতে হয়। আট শত থেকে দুই হাজার পরিবার কে প্রতিনিয়ত নিজের -পরিবার মনে করে তাদের সুখ দুঃখের ভাগিদার হিসেবে উপস্থিত থাকতে হয় । কোন মায়ের প্রসব যন্ত্রণা হলে তাদেরকে নিয়ে যেতে হয় গ্রামীণ হাসপাতালে তা দিন কিংবা গভীর রাতে । আশাকর্মীরা সারাদিন কাজ করলেও পাচ্ছে না সঠিক ভাতা,এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আশা কর্মীরা । অবশেষে আন্দলোনে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। সরকার তাদের পাশে থাকুক ও তাদের বকেয়া পাওনা- দাবিগুলি মান্যতা দেবেন এমনি আসা করছেন তারা।