|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ভবানীপুরের উপনির্বাচনেও অশান্তির বাতাবরণ দেখা গেল। ‘হামলা’ চালানো হল বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়িতে। কে বা কারা এই হামলা করেছে তার কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আর তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে কল্যাণের দাবি, বিজেপি ভুয়ো ভোটার ধরে ফেলার জেরেই এই ভাঙচুর চালানো হয়।
বিজেপি সূত্রে খবর, এই কেন্দ্রের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ বোস রোডে গাড়িতে হামলা হয়। গাড়ি আটকে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকী কল্যাণকেও নিগৃহ করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতারা। ভবানীপুর বিধানসভার বিজেপি পর্যবেক্ষক অর্জুন সিং বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।’
কল্যাণ চৌবের গাড়ি যেখানে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই এলাকাটি অবাঙালি অধ্যুষিত ভোটারদের। এখানে বিজেপি বরাবর লিড পেয়েছে। কল্যাণ খবর পেয়েছিলেন যে। কয়েকজন ভোটার ভোট দিতে যেতে পারছেন না। তাই তাঁদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতেই যাচ্ছিলেন কল্যাণ বলে বিজেপির দাবি। বিজেপির অভিযোগ, অবাঙালি ভোটাররা যাতে বেশি ভোট না দেন তাই পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
এই গোটা উপনির্বাচন পর্ব নিয়ে অর্জুন সিং বলেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু কমিশনের ভূমিকা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস জমায়েত করছে, ভুয়ো ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছে, এরপর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, কিন্তু কোথাও কিছুই দেখা যাচ্ছে না।’ লালবাজারের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়িতে যে হামলা হয়েছে তার সিসিটিভি প্রকাশ করা হয়েছে।