দুষ্কৃতিদের গুলিতে মারাত্মক ভাবে জখম হলেন নদিয়ার তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগরের প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আজিজুর বিশ্বাস

নিজস্ব সংবাদদাতা : রক্তাক্ত নদিয়া। দুষ্কৃতিদের গুলিতে মারাত্মক ভাবে জখম হলেন নদিয়ার তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগরের প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আজিজুর বিশ্বাস। পুলিশ সূত্রে খবর বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শ্রীরামপুর বাজার থেকে নিজের ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ির কাছেই বিনোদনগর হাই স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অন্ধকার জায়গা দেখে একটি মোটরবাইক তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে একের পর এক গুলি চালায় মোটরবাইকে থাকা তিন জন দুষ্কৃতিদু’রাউন্ড গুলি চালায় তারা। তার মধ্যে একটি গুলি সরাসরি আজিজুরের মাথায় লাগে। আজিজুরের আর্তস্বর শুনে আশপাশের মানুষরা ছুটে আসে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালায় দুষ্কৃতিরা। এর পর আজিজুরকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় সে রাতেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তবে ইতিমধ্যেই আজিজুর পুলিশকে তিন দুষ্কৃতীর নাম জানিয়েছেন— মোস্তফা মণ্ডল, আসাদুল সর্দার এবং হাসান ভজন।

     

    এই ব্যপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তফিজুল সর্দার বলেন, ‘এই হামলার পিছনে কে বা কারা রয়েছে এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বিরোধী গোষ্ঠী এমনকি সিপিএমের লোকও যুক্ত থাকতে পারে বলে আমাদের অনুমান।’নদিয়া জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জুলফিকার আলি খান বলেন, ‘কে করেছে, কারা করেছে আমরা এখনও জানি না। তবে ভরসন্ধ্যায় এই ভাবে গুলি চালনার ঘটনায় পুলিশের কী ভূমিকা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।’ এই ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ বাহিনী। শুরু হয়েছে তদন্তও। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করা হয় নি।