বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কন্যাশ্রী দিবস উদযাপন

সেখ আজফার হোসেন, বাঁকুড়া: ছাত্রীরা আমাদের গর্ব। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৩ সালে চালু করেন কন্যাশ্রী প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব ভাবনা প্রসূত কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ বিশ্বশ্রীতে পরিনত হয়েছে। এই প্রকল্প রাজ্যকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বের দরবারে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ১৪ ই আগস্ট বুধবার, বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের সংহতি সংস্কৃতি ভবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎযাপিত হল ষষ্ঠতম কন্যাশ্রী দিবস। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ইন্দাস ব্লক প্রশাসনের ব্যাবস্থাপনায় ষষ্ঠতম কন্যাশ্রী দিবস পালিত হল। অনুষ্ঠানের সূচনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন বিভাগ এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। বাল্যবিবাহ রোধ এবং উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প চালু করেছেন।তার ফলও আমরা পাচ্ছি। কমেছে বাল্যবিবাহ এবং স্কুল ছুটের সংখ্যা। বর্তমানে ৬০ লাখ ছাত্রী এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক ড উমাশঙকর এস। তিনি তাঁর বক্তব্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও, বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসক মানস কুমার মণ্ডল, জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, ইন্দাসের বি ডি ও মানসী ভদ্র, বিধায়ক গুরুপদ মেটে, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বুল্টি রুইদাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফরিদা খাতুন ও জেলার আধিকারিকরা। এদিনের অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন ব্লকের স্কুলগুলো থেকে প্রায় ৫০০ জন ছাত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন।

    সবশেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যারা জেলায় প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত সকল বিশিষ্টজন।