বর্ধমানে বিষ মদ পান করে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮

লুতুব আলি, বর্ধমান : বর্ধমানে বিষ মদ পান করে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকার একটি ভাতের হোটেলে মদ খেয়ে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৪ জন। শনিবার সেই সংখ্যাটা পৌঁছালো ৮ এ। লক্ষ্মীপুর মাঠের তারামা ভাতের হোটেলে অনেক মানুষ মদ খেয়ে ছিল বলে অভিযোগ। মৃতদের অধিকাংশই খেতমজুর। বিশ মদ পান করে শুক্রবার যে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল তারা হলেন হালিম শেখ, সোয়া বরাতি শেখ, ও দুই দাদা ভাই গৌতম দে এবং চিন্ময় দে। এদের সকলেরই বাড়ি বর্ধমান শহরের বিভিন্ন এলাকায়। বিশ মদ পান করে যারা অসুস্থ হয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তাদের মধ্যে শনিবার চারজনের মৃত্যু হয়। মৃতের হলেন শম্ভু শর্মা, ভবানী প্রসাদ সাঁই, শ্রীমন্ত দাস, মীর মেহেবুব। শুক্রবার আরও চারজনের মৃত্যু হওয়ার পর বর্ধন জেলা পুলিশ প্রশাসন ও আবগারি দপ্তর নড়েচড়ে বসে। তারা বর্ধমান সদর থানা কে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন এলাকা চুলাই মদ ঠেকাতে চিরুনি তল্লাশি চালায়। এছাড়াও এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত থানা গুলিতে চুলাই মদ ঠেকাতে অভিযান চালানোর জন্য পূর্ব বর্ধমান পুলিশ সুপার কামনা শিস সেন থানার পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। শনিবার বর্ধমান শহরসহ, শক্তিগড় থানা, মেমোরি থানা, জামালপুর থানা খন্ডঘোষ ও বিভিন্ন থানা থেকে বেআইনিভাবে চোলাই মদ কারবারিদের গ্রেপ্তার করেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা আবগারি দফতরের সুপারিনটেনডেন্ট এনায়েত রাব্বি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান। রবিবার ঈদুল আযহা বিশ মদ খেয়ে যে কয়জন মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে তাতে এলাকায় ঈদুল আযহা উৎসব পালনে বন্ধের মুখে। রাজ্য সরকার এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত করার জন্য একটি প্রতিনিধি দলও এসে পৌঁছেছে। অভিযুক্ত যে হোটেলটিতে মদ ছিল সেই মদ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডাক্তার তাপস ঘোষ শনিবারে প্রতিবেদক কে জানান এদিন ও মৃতদের ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে পোস্টমর্টেম করা হয়েছে।