|
---|
লু তুব আলি : বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অঙ্কুর সামাজিক অনুষ্ঠানে চারাগাছ দিয়ে বার্তা দিচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশ দূষণের ফলে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরছে। গাছ নিধনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সচেতনতা বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বর্ধমান শহরের একটি পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অঙ্কুর। যেকোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংকুরের প্রতিনিধিরা উপহার সামগ্রী হিসাবে চারা গাছ নিয়ে উপস্থিত হন। উল্লেখ্য, অঙ্কুরের প্রতিনিধিরা বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই চারা গাছকে উপহার হিসেবে বেছে নেন। অঙ্কুরের এই ধরনের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পরিবেশবিদরা সাধুবাদ জানিয়েছেন অঙ্কুরের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। অঙ্কুর কে বটবৃক্ষ হিসাবে বড় করে তুলতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ পান্ডা, দশরথ চৌধুরী, প্রদীপ কর্মকার, বাপন ঘোষ প্রমুখ। অঙ্কুরের পক্ষ থেকে মনোজ পান্ডা জানান, খুব বেশি বেশি করে গাছ না লাগালে অচিরেই পরিবেশকে আমরা অভিশাপ হিসেবে দেখতে পাবো। এই ধরনের আন্দোলনে অনেক মানুষকে শামিল হওয়া দরকার। সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা দিতে তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে থাকে। সম্প্রতি বর্ধমান উদয়চাঁদ গ্রন্থাগারে অঙ্কুরের পক্ষ থেকে সম্মাননা জ্ঞাপন ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি কুশল দে, বিশ্বনাথ সাহা, সুব্রত মজুমদার, দেবাশীষ মহান্তি, উৎপল সাহা, স্নেহাশীষ ঘোষ, রামপ্রসাদ কর্মকার, ভানুমতী কর্মকার প্রমুখ। সংগীত শিল্পী রুমা গুহ, তপন ধারা, মানসী মিত্র, দিলীপ মুখার্জি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। হীরক জ্যোতি সরকার, সুদীপ দত্ত। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও কবি মুক্তা রায়।