|
---|
রাহুল রায়, পূর্ব বর্ধমান: লোকসভা ২০১৯ এর ভোট একবারে দরজার গোড়ায়, তাই পূর্ব বর্ধমানের খাজা আনোয়ার বেড়ের বাসিন্দা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী স্বপন দত্ত বাউল ও ঘরে বসে থাকতে রাজি নন। গত ২০১৬ নির্বাচনেও ভোট প্রচার করেছিলেন। তিনি জানান কেন্দ্র ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সম্মানীত শিল্পী হয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে তিনি সবসময় ভোট প্রচার করে চলেছেন।তিনি লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার দু দিন পর থেকেই গ্রামে গ্রামে শহরে পাড়ায় পাড়ায় জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রাপ্ততন রাষ্ট্রপতির উপহার দেওয়া একতারা ও কোলডুগি নিয়ে পথে পথে । নিজেই গান লিখে নিজেই সুর করে আবার বাউল লোক নিত্য করে কোলডুগি একতারা বাজিয়ে গান ধরেছেন । বাউল গানে গানে বলছেন মানুষকে , সকাল সকাল ভোট দিতে আসুন। নিজের ভোট নিজে দিন । ভোট নষ্ট করবেন না। অবাধপক্ষ পাত হীন ভোটে কোন ভেদাভেদ যেন না হয়। আবার বলছেন ধর্ম জাতি বর্ন ভেদাভেদে কেউ গোষ্ঠীর প্রলোভনে পড়বেন না। নির্ভয়ে ভোট দিন ।
এছাড়াও ইভিএম ও ভিভি প্যাট মেশিনে কি ভাবে ভোট দেবেন তা বুঝিয়ে দিছছেন গানেগানে । নিজের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিয়ে বোতাম টিপুন ।এবং আলো জ্বললে কয়েক সেকান্ড পরে মেশিনে চোখ রেখে দেখুন ঠিক ভোট দিলেন কিনা । এই ভাবে নানা কথায় গান বেঁধে ভোট প্রচার করেন আজ চলন্ত ট্রেনের কামড়ায় , হাওড়া স্টেশন , ও প্লাটফর্মে , কলেজস্ট্রিট , ও কলকাতা ফুলবাগান এর ব্যাস্ত জনবহুল রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও করুনাময়ী অটো স্ট্যান্ডএ। নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে দেশের গণতন্ত্র কে রক্ষা করার জন্য ভোটের প্রচার করে মহানগরীতে মানুষ কে তাক লাগিয়ে দিলেন ।সকলেই এই অরাজনৈতিক প্রচার বাউল গানে নিজের উদ্যোগে করতে দেখে স্বপন বাউল কে সাধুবাদ জানায় স্বপন বাউল বার বার গানে বলেন শান্তিপূর্ণ ভোট হোক কেউ শান্তিভঙ্গ করবেন না দেশের গণতন্ত্র কে রক্ষা করুন। কেন এই প্রচার ? অনেক পথ চারী গান শুনতে দাঁড়িয়ে পড়েন ও প্রশ্ন করেন। স্বপন দত্ত বলেন যে আমি গানকে দেশের ও দশের এবং সমাজ সচেতনের কাজে সবসময় লাগিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াই। আমি মনে করি শিল্পী হিসেবে আমার একটা সামাজিক দায়িত্ব আছে তাই কারো কাছে কোনো সাহায্য প্রত্যাশা না করে আমি দেশের গণতন্ত্র কে রক্ষা করতে শান্তিপূর্ণ ভোট করতে দেশের মানুষের কাছে বাউল গানে আবেদন করছি যেমন রাজ্যের জেলায় জেলায় ঠিক তেমনি আজ মহানগরী কলকাতা তে ভোট প্রচার করছি। মানুষ সচেতন হলেই আমার নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে প্রচারের সার্থকতা।