|
---|
সেখ সামসুদ্দিন, ১১ সেপ্টেম্বরঃ হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবীতে এক চিলতে সুরের আবাহন জানাতে মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির শাখা ২ বিদ্যালয়ে একদিনের ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের কর্মশালা আয়োজিত হয়। এই কর্মশালার পরিচালনা করেন সেই পাপড়ি চক্রবর্তী যিনি তালিম নেন জয়পুর ঘরানার কিংবদন্তি শিল্পী পদ্মবিভূষণ কিশোরী আমনকরের কাছে। শ্রীমতি আমনকরের নির্দেশে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রচার ও প্রসারে তিনি ভারতের বিভিন্ন স্থানে এবং সিঙ্গাপুরে ও ইতালিতে একাধিক অনুষ্ঠানে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। কিশোরী আমনকরের দীক্ষিতা শিষ্যা পাপড়ি চক্রবর্তী এই কর্মশালায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। উপস্থিত ছিলেন মেমারি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিদ্যালয়ের সভাপতি সুপ্রিয় সামন্ত, মেমারি ১ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ আলী মহঃ ওয়ালী উল্লাহ, মেমারি থানার সাব ইন্সপেক্টর বুদ্ধদেব ঘোষ, পরিচালন সমিতির সদস্য বিধান চন্দ্র রায়, প্রধান শিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এলাকার সংগীতপ্রেমী মানুষ সংগীত শিক্ষা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। পাপড়ি চক্রবর্তী শাস্ত্রীয় সংগীত বিষয়ক মনোজ্ঞ আলোচনা করার পাশাপাশি সংগীতপ্রেমী মানুষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রধান শিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান এই ধরনের অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ে এই প্রথম আয়োজিত হলো এবং বিদ্যালয়ের পরিচালন সদস্য বিধানচন্দ্র রায়, তাপস কুমার পাঁজা ও শিক্ষক সুতনু মিত্রের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হোত না। এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সংগীত সাধিকা পাপড়ি চক্রবর্তী পাঁচ বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা শুরু করেন বলে জানানোর পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে দূরে থাকার বিষয়টি অভিভাবকদের দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।