বীরভূমের মল্লারপুরে বিস্ফোরণে উড়ে গেল মেঘদূত নামে একটি ক্লাবের দেওয়াল

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক ঃ   বীরভূমের মল্লারপুরে বিস্ফোরণে উড়ে গেল মেঘদূত নামে একটি ক্লাবের দেওয়াল। শনিবার গভীর রাত্রিতে এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন মল্লারপুরের মেঘদূত নামে স্থানীয় একটি ক্লাবে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে। ক্লাবটিতে বিস্ফোরণ কিভাবে হল তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। ক্লাব কতৃপক্ষ জানিয়েছে বিস্ফোরণ ক্লাবের ভেতর থেকে হয়নি। ক্লাবের বাইরে পিছন দিক থেকে হয়েছে। বাইরের কোন দুষ্কৃতিদের কাজ হতে পারে। ক্লাবের ভেতরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। এর সঠিক তদন্তেরও দাবি করেছেন ক্লাব কতৃপক্ষ। ক্লাবের মধ্যে কোন বোমা মজুত ছিল না বলেই দাবী তাঁদের। বিস্ফোরণ কিভাবে হল তা তদন্ত করবে পুলিশ।

    বিশেষ ভূমিকা সম্পন্ন ক্লাব যার উপর তলায় নিয়মিত চলত ক্লাসিক নৃত্যের স্কুল। ড্রয়িং স্কুল। জিবনাসটিক জিম ও যোগাসন চর্চার স্কুল এবং ফ্রি কোচিং সেন্টারের ক্লাস। বহু ছাত্র-ছাত্রীর উপকার তথা ভবিষ্যৎ তৈরি হতো এমন একটি ক্লাব যার নাম মল্লারপুর মেঘদুত ক্লাব। মল্লারপুর শহর ছাড়াও এলাকার সমস্ত গ্রামে ও যার সদস্য সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সামাজিক ও সার্বজনীন ক্রীড়া উৎসবে মেঘদুত ক্লাবের ভূমিকা এলাকায় সবার আগে। সেই ক্লাবে রাত্রি 1:45 নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা এখন ও।

    ওই ক্লাবের সেক্রেটারি গৌতম রায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমরা সারা বছর এলাকায় নানা সামাজিক কাজ করি। আমাদের সামাজিক সেবামূলক কাজে এলাকার মানুষ খুশি হয়ে ক্লাবের সদস্য পদে যোগদান করে চলেছে। আজ সেই ক্লাব আক্রান্ত। ঘটনায় তার দাবি, নিরপেক্ষ পুলিশি তদন্ত হোক ও দোষীরা অবিলম্বে গ্রেপ্তার হোক এবং তারা দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি পাক।

    ওই ক্লাবের সদস্য জয়ন্ত প্রামাণিক এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আমাদের আদর্শ ও সেবা মূলক কাজ কে আর ও এগিয়ে নিয়ে যাব। আপাতত নিয়মিত কোচিং ক্লাস নাচের স্কুল জিম ও যোগচর্চা এবং ছবি আঁকার স্কুল অন্যত্র সরিয়ে ক্লাবের সমস্ত বিভাগ চালু রাখার ব্যবস্থা করব। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, কারা এই ধ্বংসাত্মক কাজ করল? এর পিছনে কোন ও রাজনৈতিক হাত আছে কিনা সেটাই দেখার।