ডিজিট্যাল মাধ্যমে আত্মনির্ভরের নয়া দিশা দেখাচ্ছেন বনগাঁর অনির্বাণ

বনগাঁ: ভারত একটি বিপুল জনসংখ্যার দেশ। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে ডিজিট্যাল মাধ্যম এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে দাড়িয়েছে। শহর হোক বা মফস্বল বা গোটা দেশ এখন জীবিকার জন্য সংগঠিত ক্ষেত্রের উপরই নির্ভর সমাজের একটি বড় অংশ। ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পক্ষেত্র বা ডিজিট্যাল মাধ্যম অনেকাংশেই সেই নীতির ওপর ভিত্তি করে।

    তবে এদের বেশিরভাগই অসংগঠিত। যুব প্রজন্মের কর্মসংস্থানে এখন ডিজিট্যাল মাধ্যম এর গুরুত্ব অসীম। কিন্তু উপযুক্ত দক্ষতা বা ‘স্কিল’-এর অভাবে অনেকেই কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে, বা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারছেন না। ফলে দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন ও এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আর সার্বিক ভাবে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে নয়া উদ্যোগ নিয়েছেন বনগাঁর ডিজিটাল প্রশিক্ষক অনির্বাণ।
    বিশেষ করে উদ্যমী ছেলে মেয়েদের স্বনির্ভর করতে পেশায় ডিজিট্যাল মাধ্যমের অন্যতম কারিগর তথা প্রশিক্ষক অনির্বাণ বিশ্বাস ও তাঁর গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন জেলার আগ্রহী যুবক যুবতীদের নিয়ে অনবরত প্রশিক্ষণ কর্মশালা দিয়ে চলেছেন।

    ভবিষ্যতে ডিজিট্যাল মাধ্যমকে ভর করে কি কি ভাবে, কত রকম উপায়ে কাজ করা যায় তা এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে উপস্থিত সকলকে অবগত করা হয়। বর্তমানে চাকুরীর দুর্মূল্য বাজারে সম্ভাবনাময় এই নয়া দিশা দেখিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যত ও কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে পাশে থাকার আশ্বাস দেন ডিজিটাল প্রশিক্ষক অনির্বাণ বিশ্বাস।

    এ প্রসঙ্গে ডিজিটাল প্রশিক্ষক অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, “গত দু বছর ধরে আমরা প্রায় ৮হাজার যুবক যুবতীদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ডিজিট্যাল মাধ্যমকে ভর করে দেশের কর্মসংস্থান এর সুযোগ বহুগুণ বাড়বে।যার ফলে আগামী দিনে আমাদের রাজ্য থেকে বহু কর্মসংস্থান তৈরি হবে।”

    উপকৃত এবং স্বনির্ভর হওয়া এক উদ্যমী শাশ্বত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “যেখানে বর্তমান সমাজে তাল মিলিয়ে চলার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে ডেভেলপার যেকোনও শিক্ষা অর্জন করার জন্য অন্যান্য সংস্থা বহু টাকার বিনিময়ে শিক্ষাদান করে থাকেন ,সেখানে বিশ্বাস কোম্পানি আমাদের বিশ্বাসের থেকেও কয়েকগুণ উর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষাদান দেওয়া থেকে যে ভাবে পাশে থেকেছেন। তা সত্যিই অনিস্বীকার্য।আজ আমি নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করে মানুষকে তার চাহিদা অনুযায়ী পরিষেবা দিয়ে উপার্জন করার একটা নয়া দিশা খুঁজে পেয়েছি।”

    এই সংস্থার কো ফাউন্ডার মিস্টার সাঈদ হাসান বলেন, ‘দিন দিন ডিজিটাল কর্মসূচির মাধ্যমেই শিক্ষা, কর্মসংস্থান, শিল্পোদ্যোগ এবং ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়ে উঠছে।আমরা আগ্রহীদের বিনামূল্যে স্মার্ট এবং ডিজিট্যাল লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁদের দক্ষতা বাড়িয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’