|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত জেলা মুর্শিদাবাদ কন্যাশ্রী প্রকল্পে শীর্ষ স্থান অধিকার করে রোল মডেল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। কন্যাশ্রীতে চলতি অর্থবর্ষে জেলার ২ লক্ষ ১৩ হাজার ছাত্রীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল। সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে।
শীর্ষে মুর্শিদাবাদ, দু’লক্ষ ৩২ হাজার আবেদন মঞ্জুর
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দু’লক্ষ ৩৫ হাজার ছাত্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। দু’লক্ষ ৩২ হাজার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি আবেদনকারীকে আর্থিক সাহায্য করেছে জেলা প্রশাসন। কে-টু প্রকল্পে চলতি অর্থবর্ষে জেলায় ৬৫হাজার পড়ুয়াকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার টার্গেট ছিল। এখনও পর্যন্ত ৬০হাজার ১৬১টি আবেদন জমা পড়েছে। ৫৮হাজার পড়ুয়া ইতিমধ্যেই টাকা পেয়েছেন।
৯০হাজার ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে
এই প্রকল্পে মোট দু’লক্ষ ৯০হাজার ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত সুবিধা দেওয়া হবে। প্রশাসনের এক উচ্চ কর্তা বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পে আমাদের জেলা খুব ভালো কাজ করছে। কে-ওয়ান ও কে-টু প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে মুর্শিদাবাদ জেলা। কে-ওয়ান প্রকল্পে জেলার ২লক্ষ ৩২ হাজার পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। কে-টু প্রকল্পে ৫৮হাজার ছাত্রী টাকা পেয়েছে। টার্গেটের নিরিখে কে-ওয়ান প্রকল্পে ১১০শতাংশ সফল ও কে-টু প্রকল্পে ৯০ শতাংশের অধিক টার্গেট পূরণ হয়েছে।
নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার জন্য কন্যাশ্রী
বিদেশের মাটিতে রাজ্য সরকারকে পুরস্কৃত করা হয়। কে-ওয়ান ও কে-টু দুই ভাগে কন্যাশ্রীরা প্রকল্পের সুবিধা পান। ১৩ থেকে ১৮বছর বয়সি অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া মেয়েদের সরকার থেকে বছরে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেয়। এই প্রকল্পকে সংক্ষেপে কে-ওয়ান বলা হয়। দ্বাদশ শ্রেণির পর অর্থাৎ সাবালিকা হলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে কিংবা স্বনির্ভরতার পথ বেছে নিতে সরকার এককালীন ২৫হাজার টাকা করে অনুদান দেয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা প্রতি বছরই লাফিয়ে বাড়ছে। এমনকী নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার জন্য কন্যাশ্রী মেয়েদের সচেতনতার কাজে লাগিয়েছে জেলা প্রশাসন।প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর নাবালিকাদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতাও কমেছে। ভ্রুণহত্যার হার আগের তুলনায় অনেক কম। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের আয় কমে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও এই প্রকল্পের সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেওয়া হয়। নাবালিকার বিয়ের খবর পেলেই তা বন্ধ করতে প্রশাসনের সঙ্গে কন্যাশ্রীরা ছুটেছে। অনেক ক্ষেত্রে তারাই পুলিস ও প্রশাসনকে বিয়ের খবর দিচ্ছে। ফলে অনেক বিয়েই আটকানো সম্ভব হচ্ছে। সব মিলিয়ে কন্যাশ্রী ও কন্যাশ্রী যোদ্ধা মুর্শিদাবাদ জুড়ে সারা রাজ্যের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।