|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কিডনির সমস্যার জন্যই কিছুদিন আগে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। সেখানেই বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭১ বছরের অভিনেত্রী।সিনেমার থেকেও বাংলা নাট্য জগৎ বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনয়ে। তবে বাংলা নয়, তাঁর মঞ্চে অভিনয় শুরু হয়েছিল এলাহাবাদ থেকে। সেখানে চুটিয়ে অভিনয় করার পর এসেছিলেন কলকাতায়। ১৯৭৮ সালে ‘নান্দীকার’ (Nandikar) নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন স্বাতীলেখা। সেখানেই রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর সঙ্গে পরিচয়। নাটকের মঞ্চই পরবর্তীকালে দু’জনকে কাছাকাছি আনে। ঘর বাঁধেন তাঁরা। নান্দীকার তাঁদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল। অভিনয়-নির্দেশনার পাশাপাশি একাধিক নাটকের ভাবানুবাদ করেছেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। ‘অজ্ঞাতবাস’, ‘নাচনি’, ‘মাধবী’র মতো নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।চলতি বছর ২২ মে ৭১-এ পা দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ানো সেই অভিনেত্রীর পথ চলা থমকে গেল বুধবার। চলে গেলেন সত্যজিৎ রায়ের ‘বিমলা’।সিনেমার জগতে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর যাত্রা শুরু হয় মায়েস্ত্রো সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) হাত ধরে। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ঘরে বাইরে’ (Ghare Baire) ছবিটি। বিমলার চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি সিনেমায় সন্দীপের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। অনস্ক্রিনে সেই জুটির অভিনয় বাঙালির মনের মণিকোঠায় চিরকাল রয়ে যাবে। পরবর্তীকালে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় জুটি পরিচালিত ‘বেলাশেষে’ (Bela Seshe) সিনেমাতেও জুটি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র-স্বাতীলেখা। ২০১৯ সালে সুদীপ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘বরফ’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। এছাড়া রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) ‘ধর্মযুদ্ধ’ এবং শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির ‘বেলাশুরু’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন। ‘বেলাশুরু’তে আবারও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ৭১ বছরের অভিনেত্রী। কিন্তু ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই গত বছরের নভেম্বরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হয়। বুধবার প্রয়াত হলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত।