|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :মাঝরাতে বন্ধু ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বাড়ি থেকে। পরদিন যুবকের নিথর দেহ উদ্ধার হল রাস্তার ধার থেকে। বালুরঘাটের তপনে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম প্রেমজিৎ রায় (৩১)। তপন থানার হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিরহাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। প্রেমজিতের মুরগির ব্যবসা। এই ব্যবসায়িক কারণেই খুনের ঘটনা বলে মনে করছে পরিবার পরিজন। সোমবার বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে চৌমুনিতে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন। মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পরিবারের দাবি।পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার প্রেমজিতের এক বন্ধু মাঝরাতে তাঁকে ডাকে। বেরোনোর সময় প্রেমজিৎ বাড়ি থেকে প্রায় ৩১ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে বের হন। নিজের বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। বাড়ির লোকজনকে কিছুই জানাননি। অথচ পরদিন চৌমুনিতে উদ্ধার হয় তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ। পরিবারের দাবি, পরণে শুধু অন্তর্বাসটুকুই ছিল। দেহের পাশেই রাখা ছিল বাইকটি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবারই পাঠানো হয়েছে। তপন থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।নিহতের ভাই অভিজিৎ রায়ের দাবি, তাঁর দাদাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। যেহেতু বাইকটি একেবারেই অক্ষত, তাই এখানে দুর্ঘটনার কোনও প্রশ্নই নেই বলে দাবি তাঁর। অভিজিৎ বলেন, “রাত ২টো নাগাদ এক বন্ধু ডেকে নিয়ে যায় দাদাকে। এরপর সকালে দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা চাই দোষীদের শাস্তি হোক।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পাশাপাশি বাইকটিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।