“হালাল শংসাপত্র যুক্ত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন রকম সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র”: অমিত শাহ

দেবজিৎ মুখার্জি: খাদ্য থেকে ওষুধ, সব রকমের ‘হালাল’ শংসাপত্র যুক্ত পণ্যের উপরে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি হয়েছে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। যদিও ভোটমুখী তেলেঙ্গানায় গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দিলেন, হালাল শংসাপত্র যুক্ত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন রকম সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র।

    মেরুকরণের রাজনীতিতে জোর দিলেও হায়দারবাদ শহরে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘হালাল’ পণ্যের প্রসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের পথে হাঁটলেন না অমিত শাহ। উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর তেলেঙ্গানায় ভোট। শাহ এদিন বলেন, গত এক দশকে কোন দল কেমন কাজ করেছে সেকথা মাথায় রেখে ভোট দেওয়া উচিত জনতার। তাঁর কথায়, “আপনার ভোট কেবল একজন বিধায়ক বা একটি সরকার নির্বাচন করবে না, বরং তেলেঙ্গানা এবং দেশের ভবিষ্যত গড়ায় সাহায্য করবে। আমার অনুরোধ, সমস্ত দলের কাজের খতিয়ান বিবেচনা করে ভোট দিন। আমার ধারণা এটা করলেই মোদির নেতৃত্বের বিজেপিকেই বেছে নেবেন আপনারা।” সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জানান, হালাল পণ্য নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে না কেন্দ্র।

    কেসিআরকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান আমাদের কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অনুমতি দেয় না। যদিও ধর্মীয় সংরক্ষণ দিয়েছেন কেসিআর। এটা সংবিধান বিরোধী। আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ তুলে দেবো। বদলে তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ তৈরি করব।”

    উল্লেখ্য, কোনও পণ্যের প্যাকেটে ‘হালাল সার্টিফায়েড’ লেখা থাকার অর্থ সেটিকে ইসলামিক আইন বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। যেহেতু সেটি ‘ভেজালমুক্ত’ তথা ‘জীবের জন্য কল্যাণকর’। যদিও উত্তরপ্রদেশে অভিযোগ ওঠে, বহু ব্যবসায়ী বিক্রি বাড়াতে পণ্যের গায়ে ‘হালল সার্টিফায়েড’ লিখলেও শংসাপত্রের বৈধ নথি নেই তাদের কাছে।