অকাল প্রয়াণে সন্তানের স্মৃতি বুকে আঁকড়ে-অসহায় পরিবারের সেবার মাধ্যমে বেঁচে থাকার আশ্বাসে সন্তানহারা পিতা-মাতা

বাবলু হাসান লস্কর সুন্দরবন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: সন্তানকে আর হয়তো সশরীরে ফিরে পাবে না!কিন্তু সন্তানের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে অভিনব উদ্যোগ গোপাল দাস ও শিবানী দেবীর।

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার গৈপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র দাস ও শিবানী দাসের সন্তান দেবাশীষ দাস। গত ১১ বছর আগে আজকের দিনে ১৯ বছর বয়সে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার ৷ সন্তানের এই অকাল মৃত্যুর-স্মৃতি স্মরণে রাখতে শোকাহত পরিবার এই দিনটিতে আর্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত। একাধিক সেবা মূলক কাজকর্ম করে থাকেন দাস দম্পতি ৷ কিন্তু এবছর কিছুটা অন্য রকমে, প্রায় চারশত অসহায় মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিলেন। তার সাথে এই সমস্ত অসহায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে নিজের সন্তানের দুঃখ যন্ত্রণা ভোলা- ও অসহায় পরিবারদের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের কে নিয়ে আনন্দ নিকেতন। সন্তান সম লালন পালন সহ এদের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থাকার আশ্বাস।এমনই অভিনব পন্থা এই দাস দম্পতির। পুত্রহারা পিতা গোপাল চন্দ্র দাসের কথায় ছেলেকে হয়তো আর ফিরে পাবোনা। কিন্তু ছেলের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এই উদ্যোগ ৷ মা শিবানী দাস বলেন, ছেলের আত্মার শান্তি কামনায় আমরা অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে দাড়াতে চাই ৷ আজকের দিনে শারদীয় উৎসবের প্রাক মূহুর্তে নতুন বস্ত্র পেয়ে খুশি সরস্বতী বাড়ুই,মহিমা বিবি সহ শত শত অসহায় দুঃস্থ মানুষজন। দুহাত তুলে আর্শীবাদ করলেন দাস দম্পত্তিরদের ৷ এ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌরপ্রধান শঙ্কর দত্ত সহ একাধিক কাউন্সিলর।