|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: নারদ কাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের গ্রেফতারির প্রতিবাদে দল ছাড়লেন কোচবিহারের বিজেপি নেতা ভূষণ সিং৷ বিজেপি জেলা নেতৃত্বকে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুরপ্রধান৷ গত ৩ এপ্রিল দিনহাটায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন ভূষণ৷ দেড় মাসের মাথায় দল ছাড়লেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে একই কারণ দেখিয়ে বিজেপি ছেড়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস৷ রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপি-র বিপর্যয়ের পর নারদ গ্রেফতারিকে ঢাল করেই দলত্যাগী এই নেতারা ফের শাসক দলের সুনজরে পড়ার চেষ্টা করছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
নিজের পদত্যাগপত্রে ভূষণ লিখেছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে নারদ কাণ্ডে চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই, তারই প্রতিবাদে দল ছাড়ছেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, এই গ্রেফতারি পরেও করা যেত৷ বরং অতিমারির মধ্যে এমন পদক্ষেপ করায় সাধারণ মানুষই অনেক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে অভিযোগ ভূষণ সিং-এর৷ কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি৷
একই সঙ্গে ভূষণ সিং-এর অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নীতীশ প্রামাণিক বা সদ্য নির্বাচিত বিধায়করাও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না৷ তিনিও নিজেও কাজ করতে পারছেন না৷ তারও প্রতিবাদে তিনি দল ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন কোচবিহারের প্রাক্তন পৌর প্রধান৷ প্রসঙ্গত, কোচবিহারে ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৭টিতেই জিতেছে বিজেপি৷ দু’টিতে জয়ী হয় তৃণমূল৷ তবে তৃণমূলে ফিরবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেননি বলেই দাবি করেছেন ভূষণ৷
যদিও ভূষণ সিং-এর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোচবিহারে বিজেপি-র জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা৷ তাঁর পাল্টা দাবি, দল ছাড়ার জন্য মিথ্যে অভিযোগ করছেন ভূষণ৷ মালতীদেবীর আরও অভিযোগ, ভূষণ সিং কোচবিহারের পুরপ্রধান থাকাকালীন মানুষ কোনও পরিষেবা পাননি৷