ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১৪৩৭৮ ও মৃত্যু ৪৮০ জন

ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১৪৩৭৮ ও মৃত্যু ৪৮০ জন

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: ভারতে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৩৭৮। মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের। তবে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯৯২ জন। লকডাউনের মধ্যেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। এই বিপদের মধ্যেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে শুক্রবার তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারতে করোনা সংক্রমণের গতি কমছে। আগে দেশে তিন দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল করোনা রোগীর সংখ্যা।
    আবার দেশে করোনায় আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। দেশে মোট আক্রান্তের প্রায় এক চতুর্থাংশ ওই রাজ্যের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩২৩। মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের। দেশের আর কোনও রাজ্যে এত মৃত্যু হয়নি। তবে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৩১ জন। এটাও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে এমন রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লি (১৭০৭), তামিলনাড়ু (১৩২৩), রাজস্থান (১২২৯), গুজরাট (১০৯৯) এবং মধ্যপ্রদেশ (১৩১০)। কয়েক দিনের মধ্যেই হাজার ছুঁয়ে ফেলতে পারে উত্তরপ্রদেশ (৮৪৯)। দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭২ জন। তামিলনাড়ুতে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। চিকিত্সায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮৩ জন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও কেরলে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১, ৬৯, ৪১, ১৪, ১৮ ও ৩। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭। মৃতের সংখ্যা ১০। সুস্থ হয়েছেন ৫৫ জন।

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওযাল বলেন, গত সাত দিনে সংক্রমণ হার খতিয়ে দেখে বলতে পারি, করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার হার এখন তিন দিন থেকে কমে ছয় দিন হয়েছে। তাঁর দাবি, দেশের ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার আরও কম। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, লকডাউন শুরু হওযার আগে ও শুরুর কয়েক দিনে অর্থাত্ ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের গ্রোথ রেট ছিল ২.১ শতাংশ। ১ এপ্রিলের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই গ্রোথ রেট ১.২ শতাংশ। অর্থাত্ এই গ্রোথ রেট বা বৃদ্ধির হার ৪০ শতাংশ কমেছে। ইতিমধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটা বাড়া সত্ত্বেও গ্রোথ রেট কম হওয়া থেকে এটা স্পষ্ট যে, সংক্রমণ যতটা ছড়াতে পারত, ততটা ছড়াচ্ছে না। কোনও একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে তার পরে দিনের আক্রান্তের সংখ্যা হিসেব করে এই বৃদ্ধির হার পরিমাপ করা হয় বলে জানিয়েছেন লব আগরওয়াল।