|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ‘CAA হবেই’, এবার বিশেষ বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার প্রাতঃভ্রমণের পর তিনি বলেন, ‘শুধু মতুয়ারা নন, BJP সরকারের জামানায় সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। CAA করতে অনেক সময় লেগেছে। আর কিছুদিন সময় দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারনা পশ্চিমবঙ্গে পূর্ব বাংলা থেকে আসা প্রায় তিন কোটি মানুষ আছেন। CAA হলে তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। অর্ধেক কাজ হয়েছে। বাকি অর্ধেক কাজ করতে সময় চাই। একমাত্র BJP-ই পারে এই কাজ করতে।’উল্লেখ্য, রবিবারই মতুয়া মহাসংঘের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, CAA কার্যকর করা নিয়ে ফের সক্রিয় হবে তারা। এই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে,এদিন মদন মিত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘মনের কথা বলেছেন মদন।’ রবিবারই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, ‘দল নিয়ে কিছু বলার থাকলে কোথায় জানাব, কাকে জানাব, সেটা আগে মহাসচিব ঠিক করে দিন।’ এই মন্তব্যে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এবার মদনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মদন মিত্র বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি মনের কথা বলেছেন।’
সোমবার প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মদন মিত্র দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। অনেক উত্থান পতন দেখেছেন। অনেক কষ্ট পেয়েছেন। অনেকদিন পরে মনের কথা বলেছেন।’ পাশাপাশি সুব্রত বক্সিকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘ওঁর সামনে বলা আর গাছের সামনে বলা এক। তৃণমূলের ক্ষমতার ভরকেন্দ্র ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। আর সেটা অনেকে সহ্য করতে পারছে না।’ মদন মিত্রের পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘মনের কথা বলেছেন’ বলে দাবি দিলীপের।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে ডায়মন্ড হারবারে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়েই তাঁকে কটাক্ষ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ান কুণাল ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার। কল্যাণে বিরুদ্ধে তাঁরা মন্তব্য করায় বিতর্ক বাড়ে। অস্বস্তিতে পড়ে দল। শেষমেশ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘শুনছিলাম, যার যা বিক্ষোভ তা দলের মধ্যে বলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, দলের মধ্যে কোথায়, কাকে বলতে হবে। তাঁকে কোথায় পাওয়া যাবে। কারণ কর্মীরা বলছেন, তৃণমূল ভবনে একমাত্র সুব্রত বক্সী ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না।’
এই কথার পালটা মদন মিত্র বলেছিলেন, ‘দলে সমস্যার কথা কোথায় কাকে জানাব? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে সব সময় যাওয়া যায় না। অভিষেক ব্যস্ত, Abhishek Banerjee-এর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা পৌঁছতে পারে না। তপসিয়ার তৃণমূল অফিস ভাঙা হয়েছে। তবে কোথায় জানাব?’ একই সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘উনি যদি আমায় বলে দেন, তাহলে ওঁর বাড়ির তলায় যে কনস্টেবল থাকেন,তাঁর কাছে বললে, আমি সেখানেই অভিযোগ জমা দিয়ে আসব। ‘ মদন বলেন তিনি দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। সমস্যা হলে কোথায় যাবেন তা জানতে চাইছেন।