পবিত্র রমজান মাসে নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি না করে ঈদের ছুটি বৃদ্ধি করা হোক:আব্বাস সিদ্দিকী

আবু সালেহ মুসা, নতুন গতি, বারাসাত :রমজান মাস পবিত্র মাস এই মাসে মুসলিমদের কাছে সিয়াম ও সাধনার মাস।এক মাস না খেয়ে পরম করুনাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট আত্মসমর্পন করে এবং লোভ, লালসা ও অহংকার সহ সমস্ত রিপুকে সংবরন করে নিজেকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পূর্নাঙ্গ এবাদতের রহমত ময় মাস।স্বাভাবিক জীবন যাপন করার মাধ্যমেই পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা হয় ।

    আলোচ্য বিষয় হল রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় নির্বাচন কি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে মুসলিম সমাজে? মুসলিমদের ব্যক্তিগত রায় হল প্রকৃত রোজাদারদের কোন সমস্যা হওয়ার কারন নেই কারন নির্বাচন তাদের মুখ্য বিষয় নয় তাই সমস্যাও হওয়ার কারন নেই ।
    রোজা রাখা অবস্থাতে দীন মজুর থেকে আরম্ভ করে কলকারখানার শ্রমিকরা এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসে কত পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু হাজার প্রতিকূলতা থাকলেও উক্ত কর্মক্ষেত্রে তাদের সাবলীল ভাবেই তারা কাজ করে থাকে ।


    ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্ণধার পীরজাদা আলহাজ্ব মৌ: মো: আব্বাস সিদ্দিকী আলকোরায়েশী ভাইজান বলেন, একমাস কঠিন সাধনার পর যখন মুসলিমদের সর্ববৃহৎ মিলন উৎসব ঈদ-উল – ফিতরের অনুষ্ঠান হয় তখন তারা মাত্র একদিনের ছুটি পাই যেটা মুসলিমদের সঙ্গে প্রতারনা ছাড়া কিছুই নয়।
    যখন দেশ ও বিদেশ থেকে কর্মরত মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ নিজ, নিজ ঘরে ফিরে আসে তখন তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব পালন করার জন্য মাত্র একদিন ছুটি দেওয়া হয় এবং তার পরের দিন কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় এটা কি দ্বিচারিতা নয়?
    রমজান মাসে নির্বাচনের জন্য যারা রাজনীতি করতে ময়দানে নেমেছেন, নির্বাচনের নামে যারা রমজান মাসকে কেন্দ্র করে মুসলিম দরদী হয়ে উঠেছেন তাদের মানবিকতা তখন কোথায় ছিল?
    ধর্মীয় সুড়সুড়ানি বন্ধ করুন রমজান মাসে নির্বাচনে মুসলিম সমাজের কোন ক্ষতি হবেনা।