|
---|
উজির আলী,চাঁচল ০৩ আগষ্ট
মহানন্দার জলে প্লাবিত চাষের জমি পরিদর্শন করলেন মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লক কৃষি অধিকর্তা দিপঙ্কর দেব ও পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ সাহাজান আলি রামু।
সোমবার কৃষি অধিকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে চাষীদের কাছে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। খরবা জিপির খিদিরপুরের চাষী আনসারুল হক বলেন, আমন ধানের চারা রোপন করেছিলাম তিন বিঘে জমিতে। সব জলে তলিয়ে গেছে। জল নিস্কাশনের কোনো উপায় নেই। এইভাবে ইসলামপুর,তারাপুর ও শীকৃষ্ণপুর মৌজার প্রায় ৪০০ হেক্টর ধান রোপন করা জমি জলের তলায় রয়েছে বলে জানান চাষীরা।
এছাড়াও ৫০ হেক্টর পাট আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। যা ঘরে তোলা হয়নি।
কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর ওই এলাকা আনাজ ভান্ডারের মধ্যে পড়ে। তবে চারদিন ধরে ক্রমশ বেড়ে চলেছে মহানন্দা নদীর জল। যার দরূন ওই তিনটি মৌজার প্রায় ৬০ হেক্টর সব্জী সহ চাষের জমি এখন জলের তলায়। কৃষি দপ্তর সাহায্য না করলে সবজী সঙ্কট থেকে খাদ্য সঙ্কট চরমে পৌঁছাবে ওই এলাকায় বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
যারা কৃষি বিমা করেছেন তারা ক্ষতি পূরণ পাবে। এছাড়াও তলিয়ে যাওয়া আমন ধানের ক্ষতিপূরনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর দেব।
সূত্রের খবর এদিন মতিহারপূর জিপি এলাকাতেও ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমিতে পরিদর্শনে যান কৃষি অধিকর্তা।