কৃষি দপ্তরের কাছে ক্ষতিপূরণের আর্জি কৃষকদের, উপর মহলে জানাবেন বলেন কৃষি দপ্তর

ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ির দক্ষিণ মৌয়ামারী এলাকায় রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই উৎসুক জনতার ভিড় লেগে যায় এলাকায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা দেখতে চারচাকা গাড়ি, মোটর সাইকেল সহ বিভিন্ন লোকজন ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। অভিযোগ বিভিন্ন কৃষি জমিতে গাড়ি পার্কিং করে লোকজন দৌড়ে যায় ঘটনাস্থলে। আর এর ফলে এলাকার আবাদি কৃষি জমি নষ্ট হয়ে পড়েছে। কৃষকদের অভিযোগ সরষে থেকে শুরু করে আলু, বিমস, রসুন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারা কষ্ট করে কৃষি কাজ করেই সংসার চালায় বলে জানিয়েছেন। এদিকে এত বড় ক্ষতির ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়েছেন কৃষি দপ্তরের কাছে। ক্ষতিপূরণ না পেলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলেও তাদের দাবি।

    কৃষকেরা বলেন, রেল দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর লোকজন তাদের এলাকায় আসে। দৌড়ঝাঁপ করে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় যায় তাদের কৃষি জমির উপর দিয়ে। আর এর ফলে জমির দফারফা হয়ে যায়। প্রচুর ক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কি যে করবেন তা ভেবে উঠতে পারছেন না তারা। সে কারণে মাথায় হাত পড়েছে দক্ষিণ মৌয়ামারী এলাকার মানুষদের। অন্যদিকে, ঘটনার কিছু দিনের মধ্যেই এলাকায় যান ময়নাগুড়ি ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা। ময়নাগুড়ি কৃষি দপ্তর জানিয়েছে কৃষি জমির ক্ষতির হিসেব তারা খতিয়ে দেখছেন। এর পাশাপাশি তিনি কৃষকদের শস্যা ও ভুট্টা বীজ দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তূ এই সময়ে কৃষকদের এই বীজ কোনো কাজে লাগবে না বলেও অভিযোগ তোলেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, এখন ভুট্টা বা আলু লাগানোর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এই বীজ নিয়ে তারা কি করবেন। এদিকে এই ঘটনার পর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষীরা। আর্থিক সহযোগিতা না পেলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।এলাকার চাষী ফজল রহমান বলেন, ” এই বিষয়ে আমরা কৃষি দফতরে গিয়েছিম আমাদের কিছু সর্শ্য বীজ, ভুট্টার বীজ দিতে চেয়েছেন। এই সময় আমরা এই বীজ নিয়ে কি করবো। আমাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।”

    অন্যদিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কৃষি দফতর। তারা বিষয়টি উপর মহলে জানাবেন বলে জানান। ময়নাগুড়ি ব্লক সহ কৃষি আধিকারিক কৃষ্ণা রায় বলেন, ” আমি এলাকায় গিয়েছি। কৃষকদের সাথে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু শস্য বীজ দিতে চেয়েছি। আর্থিক বিষয়টি আমি উপর মহলে জানিয়েছি।”